উখিয়া প্রতিনিধিঃ
টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়া আগুনে পাঁচ শতাধিক রোহিঙ্গার ঘর ভস্মে পরিণত হয়। অন্তত অর্ধশত রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। তবে প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। শরণার্থী সংশ্লিষ্ট সরকারি, বেসরকারি ও জাতিসংঘের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কমিউনিটির দু’টি ঘর, কমিউনিটি সেন্টারসহ প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক পরিবারের সমন্বয়ে গড়ে তোলা ই- ব্লক সম্পূর্ণ পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসসহ উপস্থিত রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সকাল নাগাদ আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উক্ত ক্যাম্পের ই-ব্লকে জনৈক বাক্প্রতিবন্ধীর ঘর থেকে আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। প্রত্যেক বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থাকার কারণে আগুন দ্রুত পুরো ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটসহ রোহিঙ্গাদের দীর্ঘ চেষ্টার পর সকালের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই অগ্নিকাণ্ডে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকের ৫৪৯টি রোহিঙ্গা পরিবারের প্রায় ৮শ’ কক্ষ, ১টি ইউএনএইচসিআরের কমিউনিটি সেন্টার, পার্শ্ববর্তী ২টি স্থানীয়ের ঘর এবং পার্শ্ববর্তী আরো বেশ কিছু ভাসমান ঝুপড়ি পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। তাৎক্ষণিক আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ৪৫/৫০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্পের ইনচার্জ আব্দুল হান্নান সরকার হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির সত্যতা নিশ্চিত করেন তবে উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে জানান।
এদিকে সকাল ১০টারদিকে কঙবাজার ত্রাণ শরণার্থী ও পূর্ণবাসন বিষয়ক কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ক্ষয়ক্ষতি সরেজমিন পরিদর্শন করেন। তিনি সাড়ে ৫শ’ ঘর-বাড়ি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।