এম.এইচ মুরাদঃ
দিন যত যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ততই ঘনিয়ে আসছে। গত ২৯ শে মার্চ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস এর কারনে তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে । নির্বাচন কমিশন ২য় দফায় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করেছে আগামী ২৭ জানুয়ারি-২০২১ ইং বুধবার।
এখন দলীয় এবং সতন্ত্র কাউন্সিলর প্রার্থীরা রয়েছে জনগণের সাথে সংযুক্ত। করোনার আগে বা পরে কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা জনগণকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিশিষ্ট দানবীর চৌধুরী সায়েফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী (রাশেদ চৌধুরী) তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি মুখোমুখি হয়েছেন একাত্তর বাংলা নিউজের সাথে।
আসন্ন চট্টগ্রাম সিটি সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিশিষ্ট দানবীর চৌধুরী সায়েফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী (মিষ্টি কুমড়া মার্কায়) বিজয়ী হয়ে আধুনিক,বাসযোগ্য ও নান্দনিক ওয়ার্ড গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘দেশ উন্নত হচ্ছে, দেশের মানুষ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। জনগনের সমস্যা সমাধানের জন্য বাজেট দিচ্ছে সরকার, শুধু পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন। এলাকার জনসাধারণ উন্নত রাস্তাঘাট, নিরাপদ বাসস্থান ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ চায়। মাদক, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত সমাজ চায়। উন্নয়নের নামে ক্ষমতার অপব্যবহারকারীদের থেকে রক্ষা পেতে চায়। সঠিক পরিকল্পনা, সবার জন্য সমবণ্টন ও সৎ সাহসিকতার একটি ওয়ার্ড গড়ার রূপকার হওয়া যায়,তাই প্রমাণ করতে হবে আমার দল এবং আমার এলাকার সম্মানিত জনসাধারণ আমাকে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হবার সুযোগ যে দিয়েছেন ইনশাআল্লাহ এর প্রতিদান দিতে চাই।’
নেতৃত্বশীল প্রতিভা, সৎ ও ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে এলাকায় সুপরিচিত রাশেদ চৌধুরী। ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত আছেন তিনি।
তিনি বলেন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও সামাজিক সেবাকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই নির্বাচনের চিন্তা। এ এলাকায় কয়েক লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। এ ওর্য়াডে ব্যাংক,শিল্প প্রতিষ্ঠান, স্টেডিয়াম, সার্কিট হাউস ও মার্কেট সহ গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনা রয়েছে।এ ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অন্য যে কোনো ওয়ার্ডের তুলনায় অনেকটা শান্ত।
গুলপাহাড় মোড় এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপকর্ম রীতিমতো সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। রাশেদ চৌধুরী জয়ী হলে এসব সমস্যা গুলো দূর করবেন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে বসে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করবেন বলে জানিয়েছেন।
বিভিন্ন অনাচার-অত্যাচার-অপকর্ম থেকে এ ওয়ার্ডবাসীর মুক্তি দিতেই দায়বদ্ধ মনে করছেন রাশেদ চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডকে আমরাই সুস্থ, সামাজিক ও পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ডে পরিণত করতে চাই তাই সবাই মিষ্টি কুমড়া মার্কায় ভোট দিতে মুখিয়ে আছে।
নাগরিক দুর্ভোগ ও পরিকল্পনা নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে দিন-রাত চলছে মতবিনিময়। মিষ্টি কুমড়া মার্কার এ প্রার্থীর উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে- আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মাদক নির্মূল, ছিনতাই বন্ধ, কিশোর গ্যাংয়ের ছেলেদের সুপথে ফিরিয়ে সামাজিক পরিবেশ দেয়া,নারীদের জন্য উন্নত পরিবেশ, খেলার মাঠ,শিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্হান,রাস্তাঘাটের উন্নয়ন,স্কুল,মাদ্রাসা,মসজিদ ও মন্দিরের উন্নয়ন সহ আরো অনেক প্রতিশ্রুতি। সব ধরনের অপরাধ রুখতে ও ওয়ার্ডকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুরো ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা, প্রতিটি এলাকায় গেট, গার্ড ও কমিনিউটি পুলিশের মাধ্যমে অরাজকতামুক্ত ওয়ার্ড নির্মাণ করায় হবে লক্ষ্য।
ফুটপাত দখলমুক্ত ও হকারদের জন্য পৃথক মার্কেটের ব্যবস্থা ও হলিডে মার্কেট চালু করবেন তিনি। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন বাস্তবায়ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে চান রাশেদ চৌধুরী।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেধাবীদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বৃত্তি, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে এবং মসজিদ-মাদ্রাসার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সব সমস্যাকে সমাধান ও উন্নয়ন করা হবে।