স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিষ্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে ১ লক্ষ টাকা করে আর্থিক অনুদান তুলে দেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন।
বুধবার দুপুরে চসিক কনফারেন্স হলে ৮ পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে তুলে দেয়া হয়। এছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর ইসমাইল বালী তার বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল রাজ্জাক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন।
নিহতরা হলেন, পটিয়ার অ্যানি বডুয়া, কক্সবাজারের উখিয়ার নুরুল ইসলাম, সাতকানিয়ার একই পরিবারের ফারজানা আক্তার (মা) ও আতিকুর রহমান (ছেলে), পটিয়ার রিকশাচালক আব্দুর শুক্কুর, মহেশখালীর ভ্যানচালক মো. সেলিম, লোহাগাড়ার মাহমুদুল হক এবং সম্প্রতি ১৩ দিন মৃত্যুর সাথে হাসপাতালে পাঞ্জা লড়ে মৃত্যুবরণ করা পাথরঘাটার আশরাফ আলী রোডের মুসা কলোনির আয়শা মঞ্জিলের চতুর্থ তলার বাসিন্দা অনিল গোমেজ ও ন্যান্সি গোমেজের বড় কণ্যা ডরিন তৃষা গোমেজ (২৩)। নিহতদের পক্ষে তাদের ভাই, স্ত্রী, স্বামী, পিতা এ অনুদানের টাকা গ্রহণ করেন।
এ ছাড়া দুর্ঘটনার দিন নিহতদের দাফন-কাপন ও সৎকার্য করার জন্য সিটি মেয়রের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা এবং নিহতদের পারিবারিক স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ্যাম্বুলেন্স সহায়তা ও আহতদের চিকিৎসার সকল ব্যয় ভার বহন করে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।
অনুদান প্রদানকালে নিহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সিটি মেয়র বলেন, পরিবারের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করা সম্ভব নয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের এই আর্থিক সহায়তা ক্ষুদ্র প্রয়াস মাত্র। তিনি নিহতদের পরিবারে যেকোন প্রয়োজনে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এ সময় চসিক কাউন্সিলর, ইসমাইল বালী, হাসান মুরাদ বিপ্লব, শৈবাল দাশ সুমন, সচিব মো. আবু সাহেদ চৌধুরী, সিটি মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাসেম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রামের সভাপতি নাসির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লতিফা আনসারী, চসিক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, আইটি অফিসার মো. ইকবাল, মো. হাফিজুর রহমান ও মো. আবদুল রশিদ লোকমান উপস্থিত ছিলেন।
১৭ নভেম্বর রবিবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোডের পাঁচতলা বড়ুয়া ভবনের নিচতলায় বিস্ফোরণে দেওয়াল বিধ্বস্থ হয়। এ ঘটনায় ৪ জন পুরুষ ২ জন মহিলা ও একজন শিশুসহ ৭ জন নিহত হয়। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন ছিলো ৯ জন।
এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুল শিক্ষিকা তৃষা গোমেজের মৃত্যু হলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাড়ায় ৮ জনে।