স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে মাত্র দশ হাজার মুসল্লি এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হজের আচার-আচরণ পালন করতে হবে। এবার হজকে অনেকেই ‘বিরল হজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
দেশটির প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক সৌদি গেজেট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিনের রীতি অনুযায়ী এবারও ৯ জিলহজ বৃহস্পতিবার হজের দিন পবিত্র কাবার গিলাফ ‘কিসওয়া’ বদলানো হবে।
ইতোমধ্যে কাবা শরিফের নতুন গিলাফ হস্তান্তর করা হয়েছে। খাদেমুল হারামাইন শরিফাইন ও সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের পক্ষ থেকে মক্কার গভর্নর প্রিন্স খালিদ আল ফয়সাল কাবা শরিফের জন্য তৈরি করা নতুন গিলাফ কাবার সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক শায়খ সালেহ বিন জায়নুল আবেদিনের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
মক্কার নিকটবর্তী উম্মুল জুদ এলাকায় কাবার গিলাফ তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ শ্রমিক সারা বছর কাবার গিলাফ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন।
গিলাফটি খুব টেকসই ও মানসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়। যেন রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট না হয় এবং এতে খাঁটি রেশম ব্যবহার করা হয়। পবিত্র কাবার কালো গিলাফকে কিসওয়া বলা হয়। গিলাফের বাইরের কালো কাপড়ে স্বর্ণমণ্ডিত রেশমি সুতা দিয়ে দক্ষ কারিগর দিয়ে ক্যালিওগ্রাফি করা হয়। গিলাফে পবিত্র কোরআনের আয়াত শোভা পায়, অক্ষরগুলো সোনালি আভায় উদ্ভাসিত। একটি গিলাফ তৈরি করতে ১২০ কেজি সোনার সুতা, ৭০০ কেজি রেশম সুতা ও ২৫ কেজি রুপার সুতা লাগে। গিলাফটির দৈর্ঘ্য ১৪ মিটার এবং প্রস্থ ৪৪ মিটার।
পবিত্র কাবা শরিফের গিলাফ তৈরিতে খরচ হয় প্রায় ২০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল।
পুরোনো গিলাফকে টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাষ্ট্রপ্রধানদের উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। আগামী ৩০ জুলাই বৃহস্পতিবার পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।