নিউজ-ডেস্ক:
ভোক্তা নিরাপত্তা জামানত খাতের সম্পূর্ণ টাকা আলাদা ব্যাংক হিসাবে রাখা এবং সেই জামানতের ওপর যে সুদ আসবে, সেই সুদসহ গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুপারিশ করেছে বিইআরসি (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন) এর কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর টিসিবি অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) প্রস্তাবিত বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর শুনানিতে কমিটি এই সুপারিশ করে।
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম এবং কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ ও মাহমুদ উল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সময় প্রত্যেক গ্রাহককে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিতে হয়। এই অর্থ বিতরণ কোম্পানিগুলো নিজেদের আয় হিসেবে বিবেচনা করে। কিন্তু আইন অনুযায়ী ভোক্তা বিদ্যুৎ লাইনটি ছেড়ে দিলে এই নিরাপত্তা জামানতের অর্থ ভোক্তাকে ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু কোনও বিতরণ কোম্পানি তা ফেরত দেয় না।
কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি শুনানিতে জানায়, ভোক্তা নিরাপত্তা জামানত খাতের সম্পূর্ণ অর্থ পৃথক ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর করা আবশ্যক। নিরাপত্তা জামানতের ওপর অর্জিত মুনাফাও একই ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরিত করা সমীচীন। এই হিসাবের মূল এবং মুনাফার অর্থের পৃথক পৃথক হিসাব সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নিরাপত্তা জামানতের মুনাফা বিতরণ কোম্পানির আয় হিসাবে ‘অন্যান্য আয়’ খাতে প্রদর্শন করার বদলে ভোক্তাকে নিরাপত্তা জামানতের অর্থ মুনাফাসহ ফেরত দেওয়ার লক্ষ্যে পৃথক হিসাবে সংরক্ষণ করা সমীচীন। এই বিবেচনায় কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ভোক্তা নিরাপত্তা জামানত খাতের ৫১৯ কোটি ৭ লাখ টাকার বিপরীতে ১৮ কোটি ২ লাখ টাকা ‘অন্যান্য আয়’ হিসাবে বিবেচনা করেনি।
কমিশনের শুনানির তৃতীয় দিন সোমবার ঢাকার দুই বিতরণ কোম্পানির প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি হয়। এদিন বিকালে ডেসকোর দামের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহক পর্যায়ের মূল্য হার নিয়ে গণশুনানি হবে।