এম.এইচ মুরাদঃ
চট্টগ্রামে বায়নামূলে কেনা নিজের ভূমিতে সাইন বোর্ড সাঁটানোর পর কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের রোষানলে পড়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব মহিউদ্দিন বাচ্চু। চট্টগ্রাম মহানগরীর মুরগীর ফার্ম এলাকায় খুলশী মৌজার, আর এস ৫৫৩, পিএস ১৮০ নাম্বার প্লটে সাইন বোর্ড লাগানোর পর থেকে একটি মহল অপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নামে।
করোনা মহামারীর ক্রান্তিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মানুষকে ভালোবাসার উপহার সামগ্রী দিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চু সর্বস্তরের জনগনের মাঝে নতুন করে আলোচনায় আসলেও বর্তমানে কিছু কুচক্রী মহল তাঁর বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। কিছু স্বার্থন্বেষী মহল মহিউদ্দিন বাচ্চুর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে এমন অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট মহল ধারণা করছেন।
জানা গেছে, খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটির কিছু জায়গা এস এম জমির উদ্দিন ও আলমগীর গং এর ছিল। এর মধ্যে মো. আলমগীরের কাছ থেকে মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রায় ৯৫ গন্ডা জমি বায়নাসূত্রে ক্রয় করেন।
এর আগে সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস.এম বজলুর রশিদের অফিসে মহিউদ্দিন বাচ্চুর ক্রয়কৃত এই জায়গাগুলো নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়। ওই বৈঠকে জায়গার মালিক, সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সম্প্রতি সময়ে ওই সোসাইটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং ক্রয়ক্রৃত জায়গার আগের মালিকসহ উক্ত স্থানে এসে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে জায়গাটি বুঝিয়ে দেয়। জায়গা বুঝে নেয়ার পর মহিউদ্দিন বাচ্চু ক্রয়কৃত এই স্থানে সাইনবোর্ড লাগান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর মুরগীর ফার্ম এলাকায় খুলশী মৌজার, আর এস ৫৫৩, পিএস ১৮০ নাম্বার প্লটে সাইন বোর্ড লাগানো রয়েছে মহিউদ্দিন বাচ্চুর নামে। এ বিষয়ে খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটির সভাপতি ইরশাদ আলী ভুঁইয়া বলেন, জায়গাটি হাজি জমির উদ্দিন ও আলমগীরের ছিল। এর মধ্যে জমির উদ্দিন তার জায়গা বিক্রি করেছে অন্য লোকের কাছে আর আলমগীর তার জায়গা মহিউদ্দিন বাচ্চুর কাছে বিক্রি করেছে। সে সূত্রে মহিউদ্দিন বাচ্চু জায়গার মালিক।
সোসাইটির সভাপতি ইরশাদ আলী ভুঁইয়া আরও বলেন, এর আগে আমাদের সোসাইটির সাধারণ সম্পাদকসহ হাজী জমির উদ্দিন ও আলমগীরসহ অন্যান্যরা মিলে একদিন গিয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে জায়গা বিক্রির সীমানা দেখিয়ে দেয়া হয়েছে। তারপর সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়েছে। এর পরও যদি জমির উদ্দিনের কোন প্রকার আপত্তি থাকে তাহলে আমরা জমির উদ্দিনের সাথে বৈঠকে বসতে রাজি আছি কিন্তু বার বার ফোন করেও তিনি আমাদের ধরা দিচ্ছেন না। শুধু বাইরে বাইরে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা মোটেই কাম্য নয়।
এ বিষয়ে খুলশী গার্ডেন ভিউ হাউজিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এস.এম বজলুর রশিদও একই কথা বললেন। তিনি বলেন, জায়গাটির বায়না সূত্রে ক্রয়কৃত বলে এখন মালিক মহিউদ্দিন বাচ্চু। তাই আমরা সকলে এ জায়গায় গিয়ে জায়গাটার সীমানা ঠিক করার পর মহিউদ্দিন বাচ্চুকে বুঝিয়ে দিলে পরে তিনি ঐ জায়গায় সাইনবোর্ড লাগান। এতে দোষের কি আছে বা কেউ এটা নিয়ে অপপ্রচার করছে কেন তা তার বোধগম্য নয় বলে জানান।
এ বিষয়ে পূর্বের জায়গার মালিক মো. আলমগীর বলেন, আমার সাথে মহিউদ্দিন বাচ্চুর বায়না হয়েছে। বায়না সূত্রে ওই জায়গার মালিক মহিউদ্দিন বাচ্চুর হওয়ায় তিনি সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছেন। এতে কারও আপত্তি থাকার বিষয় আছে বলে আমি মনে করি না। যে বা যিনি আপত্তি বা অপপ্রচার চালাচ্ছে ওনার জায়গা ওনার দখলেই আছে। সুতরাং আমার বায়নামূলে বিক্রিত জায়গায় এসে তিনি যে ঝামেলা করতে চাচ্ছেন সেইটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অশোভনীয়ও বটে। আমি আশা করব ওনার শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং অকারণে একজনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করা বন্ধ করে নিজের কাজে মনযোগ দিবেন।
এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুকে মুঠোফোন কল দেয়া হলে তিনি বলেন,”জনৈক আলমগীর থেকে উল্লেখিত জায়গা বায়নাসূত্রে ক্রয় করে নিয়েছি। সুতরাং আমার নিজের ক্রয়কৃত জায়গায় আমি আমার নামে সাইনবোর্ড লাগিয়েছি। জমির নামের একজন আমাকে ফোন করলে আমি তা আমার ক্রয়কৃত জায়গার আগের মালিক আলমগীর সাহেবকে জানালে তিনি এবং ঐ সোসাইটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক সহ সবাই উপস্থিত থেকে বিষয়টি মীমাংসা করে। এবং জমির সাহেবসহ সোসাইটির সবাই উপস্থিত থেকে আমাকে আবারও আমার এই জায়গার সীমানা নির্ধারণ করে দেয়। পরে আমি ঐ জায়গায় আমার নামে সাইনবোর্ড লাগাই। তারপরও কেন আমার বিরুদ্ধে তিনি এই রকম অপপ্রচার চালাচ্ছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমার ভালো কাজে ঈর্শ্বানীত হয়ে কারও প্ররোচনায় তিনি এইসব অপপ্রচার করছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এই বিষয়ে জানতে জমির উদ্দিনকে বেশ কয়েকবার ওনার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।