এম.এইচ মুরাদঃ
করোনা দুর্যোগে অসহায় হাজারো মানুষকে নিজস্ব অর্থায়নে নিরবে নিভৃতে খাদ্যদ্রব্য ও অর্থ সাহায্য
বিতরণ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন রাঙ্গুনিয়ার কৃতি সন্তান দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের জমিদার খান বাহাদুর সিদ্দিক আহমদ চৌধুরীর নাতি এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিশিষ্ট দানবীর চৌধুরী সায়েফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী (রাশেদ চৌধুরী)।
তিনি প্রথম ধাপে মধ্য মার্চ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে ১৫০০ ব্যাগ করে দুই বারে ৩০০০ ব্যাগ এাণ সামগ্রী ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ড উনার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। এবং দ্বিতীয় ধাপে মে মাসের ৬ তারিখ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত মোট ৬ দিনে নতুন করে ১৩০০ ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী ১৩০০ পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরে প্রবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আরও প্রায় ১৭০০ পরববারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। তিনি ইতিমধ্যে তিন ধাপে মোট ৬০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও তিনি বিচ্ছিন্নভাবে আরও ১০০-১৫০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
ঈদ পরবর্তী আবারো তিনি আজ থেকে প্রায় ২০০০ অসহায় দুস্থ এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন। প্রথম ধাপে আজ এবং আগামীকাল মিলিয়ে তিনি প্রায় ৩০০ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণ করছেন। ধাপে ধাপে বিভিন্ন মহল্লা এবং পাড়ায় বাকি উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে একাত্তর বাংলা নিউজকে জানিয়েছেন দানবীর রাশেদ চৌধুরী।
ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কর্মসূচিকে দান-অনুদান মনে করছি না। দান অনুদান মনে করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমি দায়ী থাকবো। এটি বিত্তবানদের কাছে বিত্তহীনদের সম্পদের যে অধিকার রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় সম্পদ বন্টনের নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করছি আমরা। করোনা দুর্যোগ থেকে মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
একই সাথে রাশেদ চৌধুরী তার এলাকা ও পাশ্ববর্তী পাড়া মহল্লায়, মসজিদে সচেতনামূলক প্রচারণা, মাস্ক বিতরণসহ নানামুখী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যে তিনি ১০০০ পিস মাস্ক তার এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেন।
এ প্রসঙ্গে দানবীর রাশেদ চৌধুরী একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবেলা কেবল মাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে এই যুদ্ধে শামিল হতে হবে। দেশের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে এবং অসহায় মানুষদের অধিকতর সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে সবাইকে বিশেষ করে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।
উপহার সামগ্রী পাওয়া ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, করোনার এই দুর্যোগে রাশেদ চৌধুরী সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছেন। এখন ঈদ পরবর্তী আবারো নতুন করে উপহার সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছেন যা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার। এছাড়াও করোনা দূর্যোগে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন হওয়ার জন্য লিফলেট, ফেস্টুন প্রকাশসহ ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। দানবীর রাশেদ চৌধুরীর নিজস্ব অর্থায়নে যেসব কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে তা সত্যিই অসহায় মানুষের কল্যানে এক আশির্বাদ স্বরূপ। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি রাশেদ সিদ্দিকীর মত সমাজের বিত্তশালী মানুষগুলো অসহায় মানুষের পাশে থাকলে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ করোনা সংকট কেটে যাবার পর ঠিকই ঘুরে দাড়াবে ইনশাআল্লাহ। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন রাশেদ চৌধুরীর মত দানবীরদের কবুল করে আরও বেশি মানুষের পাশে থাকার তাওফিক দান করুক এই দোয়াই করছি।