মিলন কান্তি দে (বিশেষ প্রতিনিধি):
সরকার এবার রাউজান উপজেলার প্রান্তিক চাষিদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ১ হাজার ১৭০ মেট্রিক টন আমন ধান কিনে নেবে। এসব ধান কেনা হবে উপজেলার তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪৬ জন কৃষকের কাছ থেকে। উপজেলার মাঠ পর্যায়ে ঘুরে দেখা যায় রাউজান উপজেলার সর্বত্র আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার উত্তরাংশের কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে ধান মাড়াই কাজে। দক্ষিণাংশের ইউনিয়ন সমূহের কৃষকরা তুলনামূলকভাবে বিলম্বে চাষাবাদ করার কারণে এ অঞ্চলে মাঠের ধান কাটা শুরু করতে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে।
মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পাওয়ায় মাঠে ফলন ভাল হয়েছে। এছাড়া রোগবালাই তেমন ছিল না। কৃষকরা বলেন, কামলার মুজুরী অত্যধিক হারে বেড়ে যাওয়ায় এই খাতে টাকার যোগান দিতে কৃষকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে এবার সরকার সরাসরি ধান কিনবে। রাউজান উপজেলা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সনজিব কুমার সুশীল বলেছেন এবার এই উপজেলায় আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ হাজার ২৭৬ হেক্টর জমিতে। কৃষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে চাষাবাদে নামায় লক্ষ্যমাত্রার ছাড়িয়ে চাষাবাদ হয়েছে ১১ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে উপশী জাতের ১১ হাজার ২১০, হাইব্রিড ৮০ হেক্টর, ও স্থানীয় জাতের ১৯০ হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়। এই কৃষি কর্মকর্তা জানান, এই পর্যন্ত ২ হাজার ২৯৬ হেক্টর জমি থেকে পাকা আমন ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলেছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের মতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেছেন, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার আমন চাষীদের তালিকা করা হয়েছে। এই তালিকা অনুসরণ করে প্রশাসন ২৬ টাকা কেজি দামে ধান কিনবে। তিনি জানান, ধান কেনার সময় চিটার মাত্রা ও আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হবে। আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইউনিয়নে ইউনিয়নে গিয়ে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ ধানের উপযোগিতা পরীক্ষা করে দেখবেন। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ধান সংগ্রহ করবে। জোনায়েদ কবির সোহাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন সরকারের দেয়া এই সুযোগের ফলে কৃষকরা চাষাবাদে আগ্রহী হবে।