মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের কল্যাণে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন মানবিক মেয়র আ.জ.ম নাছির


প্রকাশের সময় :৭ জুন, ২০২০ ৫:৩১ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

পুরো নাম আবু জাহেদ মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। যিনি সবার কাছে আ.জ.ম নাছির উদ্দিন নামে পরিচিত। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন একনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ এবং চট্টগাম সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি। করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর মহামারিতে যখন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে সারা বিশ্ব এবং যখন থেকে বাংলাদেশেও এর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করলো তখন থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে এখনো পর্যন্ত নগরবাসীর সেবায় প্রতিনিয়ত নগরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে চলেছেন মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

করোনাকালীন সময়ে তিনি কখনো ছিটিয়েছেন জীবানুনাশক স্প্রে, কখনো চালিয়ে যাচ্ছেন মশক নিধন কার্যক্রম, কখনো চালিয়ে যাচ্ছেন ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী এবং তিনি সার্বক্ষণিক করোনা থেকে নগরবাসীকে বাঁচাতে নিয়েছেন বিভিন্নরকম মহৎ উদ্যোগ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মাইক্রোবাসে করে জনসচেতনতামূলক মাইকিং করছে মেয়র নিজেই এবং ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌছে দিচ্ছেন তিনি। চট্টগ্রামে বাড়িয়েছেন চিকিৎসা সেবার পরিধি। করোনা প্রতিরোধে জনসাধারণ যাতে ঘরে থাকে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে কর্মহীন দরিদ্র পরিবারের মাঝে বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্য সহযোগীতার হাত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার সামগ্রী সহ সরকারী ত্রাণ সামগ্রী এবং তার নিজস্ব অর্থায়নের খাবার বিলিয়েছেন অকাতরে, বিতরণ করেছেন নগদ অর্থও।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নিজস্ব তহবিল থেকে করোনাকালীন সময়ে ১ কোটি টাকার অধিক নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন মেয়র আ.জ.ম নাসির। উল্লেখ্য, ২৬ হাজার সাধারণ জনগণ, প্রায় ৭ হাজার পরিবহন শ্রমিক, ৪৩ টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের ৬ হাজার ৪ শত ৫০ জন দলীয় নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও পত্রিকার হকার, বিভিন্ন মার্কেটের শ্রমিক ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করেছেন নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী। বিভিন্ন সংস্থা যেমন- ইউএনডিপি ইউকে-এইড এর সহায়তায় ১৫ শ টাকা করে বিতরণ করেছেন ২০ হাজার মানুষের মাঝে।

বর্তমানে মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সবচেয়ে বেশী সময় ব্যায় করছেন করোনাকালে নগরবাসীর সাস্হ্যসেবা নিশ্চিতকরণসহ সরকার ঘোষিত করোনা চিকিৎসার জন্য বরাদ্দকৃত হাসপাতালের পাশাপাশি আরও নতুন নতুন বেসরকারি হাসপাতাল এবং কমিউনিটি সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্হাপনাকে করোনা স্পেশেলাইজড হাসপাতালে পরিণত করে সাময়িক করোনা চিকিৎসায় সংযুক্ত করার মাধ্যমে নগরবাসীর সুচিকিৎসার ব্যাবস্হা গ্রহন করা। যা ঐ সমস্ত হাসপাতাল এবং কমিউনিটি সেন্টারের মালিকরা সেচ্ছায় সাময়িক ব্যাবহার করতে দিচ্ছেন করোনা সংকট মোকাবেলাকল্পে।

নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিম্ন আয়ের মানুষদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, করোনাকালে নগর পিতা আ.জ.ম নাছিরের এই জনসেবামূলক কর্মকান্ড এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমরা তারই এই মহানুভবতা কখনো ভূলবনা। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন, তিনি চট্টগ্রামের সর্বসাধারনের নেতা। ১ নং দক্ষিন পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনার এই মহামারিতে আমাদের সিটি মেয়র নাছির সাহেব যেভাবে দিনরাত জনগণের পাশে ছিলেন তাতে আমাদের মনে হয়েছে আমাদের প্রকৃত অভিবাবক আমাদের সাথে আছে। আমরা ওনার সুসাস্হ্য কামনা করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অক্সিজেন, ষোলশহর, মুরাদপুর, বায়েজিদ এলাকার অনেকেই বলেছেন মেয়রের সাথে আমাদের দলীয় মতাদর্শের পার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু সত্যিকার অর্থে এই মহামারিতে তিনি যেভাবে কাজ করেছেন তা প্রশংসনীয়। নাছিরাবাদ ও ২ নং ওয়ার্ড জালালাবাদ এলাকার কয়েকজন বলেন, বানিজ্যক রাজধানী চট্টগ্রামসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক জনপ্রতিনিধিদের মাঠে না থাকার অভিযোগ যেমন আছে আবার ত্রাণের অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী আত্মসাতের প্রমাণও আছে অনেক। আর এই পরিস্থিতিতে মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন সরকারি ত্রাণ সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে বন্টন করেছেন এবং তার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে হাজার হাজার মানুষকে সহযোগীতা করছেন।

একাধিক দলীয় কর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমরা নাছির ভাইয়ের গ্রুপ করিনা কিন্তু করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাঁর মহানুভবতার কাছে আমরা হেরে গেছি। দিন থেকে রাত অবদি তিনি নগরবাসীর জন্য যে শ্রম দিয়েছেন তা সত্যিই বিরল। নগর আওয়ামীলীগের আরেক নেতা বলেন আ.জ.ম. নাছির মেধা ও শ্রম দিয়ে চট্টগ্রামের জনগনের সেবা ও রাজনীতি করেই আজ এপর্যন্ত এসেছেন। তিনি একজন পরিশ্রমী রাজনিতিবীদ। তিনি কখনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি বলে সবসময় আলোচনা-সমালোচনায় ভেসেছেন।

একটি কথা না বললেই নয়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে অর্থাৎ গত ২৩ মার্চ থেকে শুরু হওয়া চসিক মেয়রের ভালবাসার উপহার প্রদান কার্যক্রম এখনও চলমান রয়েছে। তার ৮ জনের একটি টিম রয়েছে। তারা প্রতিদিন সাহায্য প্রত্যাশীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্য সামগ্রী। পক্ষান্তরে সিটি মেয়রের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এবং ব্যক্তিগত মোবাইলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত যারা লজ্জায় সবার সামনে সাহায্য চাইতে পারছেন না, তারা ম্যাসেজ পাঠালেই খাদ্য সামগ্রী ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে এবং গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থেকে এসব ম্যাসেজ পর্যবেক্ষণ করছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দিন। জানা যায়,এই সহায়তা মেয়রের ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যপারে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আ. জ. ম. নাছির উদ্দীন বলেন, “সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে হৃদয়ে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ক্ষুদ্র একজন সৈনিক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শই হলো দুঃসময়ে জনগণের পাশে থাকা। নগরবাসীর ভোটে আমি মেয়র নির্বাচিত হয়েছি তাই নগরবাসীর পাশে থাকাটাই আমার একান্ত নৈতিক দায়িত্ব। আর আমি মনে করি যারা রাজনীতি করেন, প্রত্যেকরই এই দায়িত্ববোধ থাকা উচিৎ। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, আজীবন যেন জনসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পারি এই দোয়াই চাই সবার কাছে। আমি মানুষের সেবা করতে গিয়ে যদি মৃত্যুবরণও করি তাহলে আমার কোন আপসোস থাকবে না। আমি আশা করব সরকারের পাশাপাশি ধনাঢ্য ব্যক্তিরা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেভাবে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন সেটি অব্যাহত থাকলে আমরা এই মহামারী দুর্যোগ মোকাবেলায় জয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।”

ট্যাগ :