মুহাম্মাদ শরিফুজ্জামান বাপ্পিঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে কুকুরটির মালিক। তবুও হাসপাতালের বারান্দায় তিন মাস ধরে কুকুরটি অপেক্ষা করছে।
হৃদয় বিদারক এই দৃশ্য দেখা গেছে নভেল করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল উহানের একটি হাসপাতালে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি সানের প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মালিকের সঙ্গে কুকুরটি হাসপাতালে এসেছিল। কিন্তু পাঁচদিন পরে মালিক মারা যায়। তবুও কুকুরটি মালিকের অপেক্ষায় হাসপাতালেই থেকে যায়।
অনেকবার কুকুরটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। স্টাফদের দেওয়া সামান্য খাবার খেয়েই ওখানে আছে ও। তবে এরই মধ্যে কুকুরটি মেডিকেল স্টাফদের মন জয় করে নিয়েছে।
হাসপাতালের বিল্ডিংয়ে থাকা একটি সুপারমার্কেটের মালিক মিস কুইফেন ডেইলি সানকে বলেন, “কুকুরটির মালিক নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। পরবর্তীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করলেও কুকুরটি এখানেই মালিককে খুঁজতে শুরু করে।
“কুকুরটি এখান থেকে না যাওয়ায় আমি তাকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাই। মার্কেটে রেখে তাকে পুষতে শুরু করি।”
মিস কুইফেন কুকুরটিকে ‘জিয়াওবাও’ বলে ডাকেন। বাংলায় এর অর্থ দাঁড়ায় ‘ছোট্ট সম্পদ’।
মিস কুইফেন আরো বলেন, “কুকুরটিকে আমি অনেকবার দূরে রেখে এসেছি। কিন্তু সে আবার হাসপাতাল চত্ত্বরে এসে তার মালিককে খুঁজতে শুরু করে। সত্যিই কুকুরটি অবিশ্বাস্য ধরণের বিশ্বস্ত।
“জিয়াওবাও কথা বলতে পারে না। কিন্তু তার মুখের চাহনি দেখে এটা স্পষ্ট, সে এখনো তার মালিককে খুঁজছে।”
বর্তমানে কুকুরটি অ্যানিমাল প্রটেকশন অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আছে। কর্তৃপক্ষ জানায়, উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে কুকুরটিকে হস্তান্তর করা হবে।