এম.এইচ মুরাদঃ
করোনায় অসহায় হাজারো মানুষকে নিরবে নিভৃতে নিজস্ব অর্থায়নে এবং সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত খাদ্যদ্রব্য ও অর্থ সাহায্য বিতরণ কর্মসূচী অব্যাহত রেখেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আলহাজ্ব মোহাম্মদ হোসেন হীরণ।
তিনি প্রথম ধাপে মধ্য মার্চ থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিজের অর্থায়নে ১৫০০ ব্যাগ করে দুই বারে ৩০০০ ব্যাগ এাণ সামগ্রী ১৩নং পাহাড়তলী ওয়ার্ড উনার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিয়েছেন। এবং দ্বিতীয় ধাপে মে মাসের ৬ তারিখ থেকে নতুন করে ৩০০০ ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী ৩০০০ পরিবারের হাতে তুলে দেন। তিনি তার নিজের অর্থায়নে দুই ধাপে মোট ৬০০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়াও তিনি বিচ্ছিন্নভাবে আরও ১০০-১৫০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন বলে জানা গেছে।
একইসাথে তিনি সরকারিভাবে কয়েকভাগে প্রায় ৬৫০০ পরিবারের মাঝে ৬৫০০ ব্যাগ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। একটি এগ্রো ফার্ম এবং একটি সামাজিক সংগঠনের সহায়তায় যথাক্রমে ৫০০০ ব্যাগ ও ৩০০০ ব্যাগ করে মোট ৮০০০ ব্যাগ ত্রাণ সামগ্রী ৮০০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করেন। সর্বপরি তার ওয়ার্ডের প্রায় ২০৫০০ অসহায় দুস্থ, কর্মহীন নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
ত্রাণ বিতরণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে এই কর্মসূচিকে দান-অনুদান মনে করছি না। দান অনুদান মনে করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমি দায়ী থাকবো। এটি বিত্তবানদের কাছে বিত্তহীনদের সম্পদের যে অধিকার রয়েছে তারই ধারাবাহিকতায় সম্পদ বন্টনের নীতিমালার অংশ হিসেবে এসব কর্মসূচি গ্রহণ করছি আমরা। ঈদ পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
একই সাথে কাউন্সিলর হীরণ তার এলাকা ও পাশ্ববর্তী পাড়া মহল্লায়, মসজিদে সচেতনামূলক প্রচার প্রচারণাসহ নানামুখী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তার নির্দেশনায় একটি সামাজিক সংগঠন ফ্রী ঈদ বাজার চালু করেছে যেটি থেকে তার ওয়ার্ডের অসহায় দুস্থ মানুষজন বিনামূল্যে ঈদের জামা কাপড় সংগ্রহ করতে পারবেন।
এ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, এই দুর্যোগ মোকাবেলা কেবল মাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাইকে এই যুদ্ধে শামিল হতে হবে। দেশের সীমাবদ্ধতার কথা চিন্তা করে এবং অসহায় মানুষদের অধিকতর সেবাপ্রদানের লক্ষ্যে সবাইকে বিশেষ করে সমাজের বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে।
১৩নং পাহাড়তলী এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, করোনার এই দুর্যোগে কাউন্সিলর মোহাম্মদ হীরণ ইতিমধ্যে প্রায় ৬০০০ পরিবারকে নিজের অর্থায়নে এবং সরকারীভাবে প্রায় ৬৫০০ পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন। এছাড়াও করোনা দূর্যোগে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক না ছড়িয়ে সচেতন হওয়ার জন্য লিফলেট, ফেস্টুন প্রকাশসহ ব্যাপক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করছেন। কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণ নিজস্ব অর্থায়নে এবং সরকারীভাবে বরাদ্দকৃত যেসব কর্মসূচী গ্রহণ করা হচ্ছে তা সত্যিই প্রসংসার দাবিদার। সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি কাউন্সিলর হীরণের মত সমাজের বিত্তশালী মানুষগুলো অসহায় মানুষের পাশে থাকলে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ করোনা সংকট কেটে যাবার পর ঠিকই ঘুরে দাড়াবে ইনশাআল্লাহ। মহান সৃষ্টিকর্তা যেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন হীরণদের মত দানবীরদের কবুল করে আরও বেশি মানুষের পাশে থাকার তাওফিক দান করুক এই দোয়াই করি।