পটিয়া প্রতিনিধি:
পটিয়ায় ব্যবসায়ী সংঠনের নেতাদের দ্বন্দ্বের কারণে দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার পরও তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। নেতৃবৃন্দ ঈদ মার্কেটে দোকান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়ার পরও কতিপয় ব্যবসায়ী ও নেতা তা না মেনে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছেন। তারা সামাজিক দূরত্ব না মেনে বেচাবিক্রি করছেন। এতে প্রতিটি দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোনো তোয়াক্কা না করে পটিয়ায় বিভিন্ন মার্কেটে ও বাজারে লোকজনের ভিড় বাড়ছে। সকাল থেকে ইফতারের আগ পর্যন্ত প্রতিটি মার্কেটে ঈদের বেচাকেনা চলছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নারী-পুরুষ কাপড় চোপড়সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে এই মার্কেট থেকে ওই মার্কেটে ছুটোছুটি করছেন। গতকাল সকাল থেকে পটিয়ার ছবুর রোড, ক্লাব রোড, স্টেশন রোডে ‘তিল ধারনের’ জায়গা ছিল না। অথচ এর আগে পটিয়া দোকান মালিক সমিতির এক বৈঠকে ঈদ মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও কিছু ব্যবসায়ীর কারণে তা কার্যকর করা যাচ্ছে না। গত কয়েকদিনে পটিয়াতে একই পরিবারের ৯ জনসহ ১৬ জন ব্যক্তির করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার হাইদগাঁও এলাকার ৬ বছরের এক শিশু মারা যায়।
পটিয়া উপজেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইউছুপ জানিয়েছেন, দোকান মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত ছিল সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে যেন ঈদ মার্কেটের দোকান খোলা রাখা হয়। কিন্তু কিছু কিছু দোকানদার মানুষের দূরত্ব নিশ্চিত না করে এবং সমিতির সিদ্ধান্ত অমান্য করে দোকান খুলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলা করতে হলে প্রশাসনের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সচেতন হওয়া দরকার। তারা সচেতন না হলে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হবে। পটিয়াতে দিন দিন করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত বাড়ছে।