মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এবার করোনার সহযাত্রী ডেঙ্গু! জনসচেতনতাই একমাত্র রক্ষার উপায়


প্রকাশের সময় :১৩ মে, ২০২০ ২:৩৬ : পূর্বাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে দেশের মানুষ। ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। এর মধ্যেই চট্টগ্রামে শুরু হয়ে গেছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। করোনা মহামারীর পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটা ‘গোদের উপর বিষফোঁড়া’র মতো।

গতকাল মঙ্গলবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন একজন। এরবাইরে একই পরিবারের দুইজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা ও ডেঙ্গু রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে জনসচেতনতাই একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর পিক মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। সামনে থেমে থেমে বৃষ্টিতে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভার প্রজনন সক্ষমতা খুব বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে। এতে এডিস মশার বিস্তারও ঘটতে পারবে। তাই এখন থেকেই এ বিষয়ে বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ তাদের।

তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নাজিম উদ্দিন (৪৮) নামে এক ব্যক্তি জ্বর নিয়ে জরুরি বিভাগে ভর্তি হন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে হাসপাতালের ১৩ নম্বর মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি দেন এবং পরীক্ষায় তার নমুনায় এনএস-১ পজিটিভ আসে। বর্তমানে ওই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নাজিম উদ্দিন বাঁশখালী উপজেলার খুবদী আবু তোরাব সওদাগরের বাড়ির আবু সৈয়দের ছেলে।

এর বাইরে নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় বাবা ও ছেলের শরীরে ধরা পড়েছে ডেঙ্গু। গত রবিবার কাঞ্চন দত্ত ও তার ছেলে এলিন দত্ত পিকলুর শরীরে ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরআগে এ দুইজনের জ্বর হওয়ায় করোনাভাইরাস সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু তাতে দুইজনেরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ডেঙ্গু পরীক্ষা করা হলে তাদের এনএস-১ পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে দুইজনেই নিজ বাসায় অবস্থান করছেন।

করোনার মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতির বিষয়ে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘এ মৌসুম ডেঙ্গুর। গত বছরের এই সময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই। কিন্ত বর্তমানে যেহেতু করোনার বিষয়টি সামনে আছে, তাই অনেকেই সেদিকে নজর দিচ্ছে না। কিন্তু এটিও নীরব ঘাতক হতে পারে। তাই এ বিষয়ে এখন থেকেই বেশি সচেতন হতে হবে।’

এদিকে, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চট্টগ্রামের ১৪টি উপজেলায় কিটসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন. ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ ঠেকাতে আগ থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। একই সাথে নগরীতে ওষুধ ছিটানোর জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষকে চিঠির মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে। তবুও করোনার পরিস্থিতিতে সকলকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন এ চিকিৎসকের।’‘ তিনি বলেন, এ মুহুর্তে প্রত্যেকেই নিজ অবস্থান থেকে নিজ আঙ্গিনা নিয়মিত পরিষ্কার রাখলে, এডিস মশা নির্মূল হবে। তাহলেই ডেঙ্গু থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ’

ট্যাগ :