স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই জাতীয় সনদ ও এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান আরও স্পষ্ট হয়েছে। বুধবার (১৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে আয়োজিত জরুরি বৈঠকে দলগুলোর নেতারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।
বিএনপি জানিয়েছে, সনদে সব দলের মতামত প্রতিফলিত হয়েছে, তাই তারা স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা ১৭ অক্টোবর সনদে সই করতে প্রস্তুত। এতে জাতীয় ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে।”
তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলেছে, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও আইনি ভিত্তি পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা সই করবে না। এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, “গণভোট, আদেশ এবং সংসদের সাংবিধানিক ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা না পাওয়া গেলে সনদ টেকসই হবে না।”
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, গণভোট আগে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশও একই দাবি জানায়।
এদিকে পাঁচটি বামপন্থি দল—বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাসদ (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ বাসদ এবং গণফোরাম—ঘোষণা দিয়েছে, সংবিধানের ১৫০(২) ধারা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত না হলে তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা জুলাই সনদের অংশ হিসেবেই বাস্তবায়িত হবে।
সরকার আগামী ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।