স্টাফ রিপোর্টার:
ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়লেও মূসক প্রত্যাহার করায় দাম কমবে পণ্যটির। অর্থ মন্ত্রণায়ল সূত্রে জানা গেছে, এবার বাজেটে ল্যাপটপের আমদানি শুল্ক ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করার প্রস্তাব করা হবে। একই সঙ্গে আমদানি পর্যায়ে আরোপিত মূসক প্রত্যাহার করার সুপারিশ করা হচ্ছে। এতে সর্বমোট করভার ৩১% থেকে কমে ২০.৫০% এ গিয়ে দাঁড়াবে।
বর্তমান সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ স্লোগান বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে দেশীয় ভোক্তাদের জন্য ল্যাপটপ সহজলভ্য করতে এবং নকল কিংবা রিফারবিশড ল্যাপটপ কেনার মাধ্যমে প্রতারণার হাত থেকে ক্রেতাদের রক্ষা করতে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
এছাড়া কম্পিউটার ও কম্পিউটার সামগ্রী আমদানির জন্য বিদ্যমান প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী যে কোনও আমদানীকারক শর্ত ছাড়াই শুধু ৫% শুল্ক দিয়ে কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ ইত্যাদি আমদানি করতে পারে যা প্রকৃত কম্পিউটার সামগ্রী উৎপাদকগণের জন্য অসুবিধাজনক। এই অবস্থায় কতিপয় পণ্যকে প্রজ্ঞাপনটি থেকে প্রত্যাহার করার প্রস্তাব করা হবে।
এদিকে প্রস্তাবিত বাজেটে দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতির আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দেয়ার সুপারিশ করা হচ্ছে। এর ফলে কমতে পারে মোটরসাইকেলের দাম।
জানা যায়, বর্তমানে দেশে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী কিছু প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিন সংযোজন করছে। এ ধরনের মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহ প্রদানের জন্য মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ইন সিকেডিয়ের পার্টসসমূহকে মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উপকরণ আমদানি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হচ্ছে।
আরও জানা যায়, উল্লিখিত পণ্যসমূহের আমদানির বিপরীতে আরোপণীয় ৩ (তিন) শতাংশের অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি ও সম্পূরক শুল্ক হতে অব্যাহতি প্রদান করার প্রস্তাব করা হচ্ছে। তবে ২৫০ সিসির ঊর্ধ্বসীমার ইঞ্জিন ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলের জন্য উক্ত যন্ত্রাংশগুলো আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ (দশ) শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ কাস্টমস ট্যারিফ এ সংশ্লিষ্ট পণ্যের বিপরীতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ হতে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ ধার্য করার সুপারিশ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর আগে সংসদ ভবনে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার প্রায় ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি তার প্রথম এবং দেশের ৫৩তম বাজেট।