নজরুল মৃধা:
শীতে তিস্তা নদীর সৌন্দর্য বাড়াতে ভিড় করছে দুর্লভ পরিযায়ী পাখির দল। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার তিস্তা নদী এবং নদীর চরে এখন বিচরণ করছে অগণিত পরিযায়ী পাখি। এর কোনোটা হাজার মাইল দূর থেকে এসে মোহনীয় করে তুলছে প্রকৃতি ও পরিবেশ। তিস্তা এখন পরিযায়ী পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সুদূর সাইবেরিয়া, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাদাখ থেকে এসব পাখি এসেছে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ হাঁস, ছোট কান প্যাঁচা, লম্বা পা তিসাবাজ, জিরিয়া, টিটি, মনকাণ্ড চখাচখিসহ অন্তত ৫০-৫৫ প্রজাতির পাখির আগমন ঘটেছে।
তিস্তায় আসা এসব দুর্লভ পাখির ছবি তুলছেন রংপুরের কয়েকজন শৌখিন আলোকচিত্রী। সম্প্রতি তিস্তা নদী থেকে পাখির ছবি তুলেছেন শৌখিন আলোকচিত্রী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. তুহিন ওয়াদুদ।
তিনি তিস্তায় দুর্লভ পাখির বিচরণ সম্পর্কে বলেন, প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিস্তায় কমবেশি পরিযায়ী পাখি আসে। প্রতি বছরের মতো এবারও আসছে। তবে এবার বেশ কিছু নতুন পরিযায়ী পাখির দেখা পাওয়া যাচ্ছে তিস্তায়। নদীর পরিবেশ-প্রকৃতি পাখিদের অনুকূলে থাকায় তিস্তাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করছে এ পাখিগুলো।
নদীর শামুক, জলজ পোকামাকড় এসব পাখির খাদ্য। তিস্তায় এসব খাদ্য পাওয়া যায় বলে এখানে বিচরণ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে পাখিগুলো।
তিনি বলেন, তিস্তাকে যেন পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্র করা যায় এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসা উচিত।