মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ তিন প্রকল্পের উদ্বোধন ১৪ নভেম্বর


প্রকাশের সময় :৯ নভেম্বর, ২০২৩ ৫:১৫ : পূর্বাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদ:

আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

একই সাথে উদ্বোধন হবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এর আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাকলিয়া এক্সেস রোড ও ডিটি-বায়েজীদ সংযোগ সড়ক।কর্ণফুলীর তলদেশ দিয়ে টানেল উদ্বোধনের পর ১১ নভেম্বর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। যাতায়াত ব্যবস্থায় দুই মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের পরই আগামী ১৪ নভেম্বর চট্টগ্রামের আরেক মেগা প্রকল্প এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পতেঙ্গা টানেলের মুখ থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। আপাতত এই অংশ খুলে দেওয়া হবে। তবে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস অংশের কাজ শেষ না হওয়ায় এটি এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এক থেকে দুই মাসের মধ্যে বাকি সব কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে। নির্বাচনের আগে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়া চট্টগ্রামবাসীর জন্য সরকারের উপহার। এটি চালু হলে মাত্র ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানো যাবে। তবে দিতে হবে নির্ধারিত হারে টোল। বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হওয়ায় টানেলমুখী যানবাহনের চাপ সামলাতে এই এক্সপ্রেসওয়ে সহায়তা করবে বলে মনে করছে বাস্তবায়নকারী সংস্থা।

সাবেক মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি।

নগরীর যানজট নিরসনে ২০১৭ সালের জুলাই মাসে একনেক সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প অনুমোদন পায়। ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ১৬ দশমিক ৫ মিটার চওড়া এই অবকাঠামোর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি কাজ শেষ হয়েছে।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) সূত্র জানায়, যৌথভাবে নির্মাণকাজ পায় বাংলাদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ও চীনা প্রতিষ্ঠান র‌্যাঙ্কিন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিলার পাইলিং কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের কাজ ২০২২ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জটিলতার কারণে মেয়াদ ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। মোট নির্মাণ ব্যয় ৪ হাজার ৩৬৯ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ৮১৯ টাকা।

উল্লেখ্য, লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে মূলত; শাহ আমানত সেতু থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের আওতায় চলে আসবে। শাহ আমানত সেতু থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছয় লেনের একটি রোড নির্মাণ করেছে। এতে সড়কে বিরতিহীনভাবে গাড়ি চলাচল করতে পারে। আর সেই রোড দিয়ে বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দিয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে যুক্ত রয়েছে। আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভার দিয়ে সরাসরি চলে যাওয়া যাবে পতেঙ্গা সৈকত হয়ে টানেল দিয়ে নদীর ওপারে কিংবা ঢাকামুখী আউটার রিং রোডে যুক্ত হওয়া যাবে।

ট্যাগ :