স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিনের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত ২৪ আগস্ট দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী স্বাক্ষরিত অনুসন্ধান সংক্রান্ত চিঠি চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়।
এতে চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে রেকর্ডপত্র দুদককে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়। অথচ গত ১৭ দিনেও চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিনের তথ্য দুদককে সরবরাহ করেনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। কবে নাগাদ সরবরাহ করা হবে সে বিষয়েও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারছেন না চসিক কর্মকর্তারা।
দুদকের চিঠির বিষয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম রবিবার বলেন, ‘দুদক থেকে চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিন সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। যেসব তথ্য চাওয়া হয়েছে তা এক জায়গায় নেই। এর মধ্যে কিছু প্রকৌশল বিভাগ থেকে আর কিছু হিসাব শাখা থেকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। সব তথ্য এক সঙ্গে করে তা শিগগিরই দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে কবে পাঠানো হবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।’
চিঠিতে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম করে ফ্ল্যাট ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্ন বর্ণিত রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। চিঠি পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে রেকর্ডপত্র দুদককে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে সিটি করপোরেশনের চাকরিতে জসীম উদ্দীনের যোগদানের শুরু থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত বেতন-বোনাস ও বিলের বিবরণ চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাহিম কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ইসলামকে সিটি করপোরেশন থেকে যেসব কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে, তার রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিটি করপোরেশনের জন্য আমিন ইনফ্রাস্ট্রাকচারের স্বত্বাধিকারী দিদারুল ইসলাম থেকে যেসব মালামাল কেনা হয়েছে, তারও রেকর্ডপত্র চেয়েছে।
এদিকে, দুদক যে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে সেগুলো প্রকৌশলী জসীমের ভাইয়ের বলে অভিযোগ আছে। তবে বর্তমানে অভিযুক্ত ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জসীম উদ্দিন ছুটিতে আছেন। রবিবার পর্যন্ত তিনি কর্মস্থলে যোগদান করেননি।’
উল্লেখ্য, জসীম উদ্দিন চসিকের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন প্রকল্প ‘বিমানবন্দর সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক উন্নয়ন ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত উন্নয়ন’ প্রকল্পে উপপরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন। প্রকল্পটি ছিল দুই হাজার ৪৯০ কোটি ৯৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকার।