স্টাফ রিপোর্টার:
যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাবে অনেকে সেপটিক ট্যাংকের বর্জ্য নালাসহ বিভিন্ন পানিপ্রবাহে ছেড়ে দিচ্ছেন। যা প্রাণ-পরিবেশের উপর ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। এ পরিস্থিতির উত্তরণে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বস্তি এলাকায় মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার পাশাপাশি আবাসিক ভবনের সেপটিক ট্যাংকের মানব বর্জ্য সংগ্রহ করে হালিশহরে নির্মাণাধীন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে নিয়ে পরিশোধন করবে। এজন্য ওয়াসা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা।
গতকাল মঙ্গলবার মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের ‘চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ, উন্নয়ন ও সেনিটেশন প্রকল্প-২’ এর সমঝোতা স্মারক বিষয়ে সভা করেছে চসিক ও চট্টগ্রাম ওয়াসা। টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সিটি মেয়র এবং চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক করেন। মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মেয়রের কাছে তুলে ধরে ওয়াসা প্রতিনিধি দল। ওয়াসার উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে সিটি মেয়র বলেন, টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ সহায়তা করবে চসিক। মূলত চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কারণে চট্টগ্রামের জনসংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এই বিপুল মানুষের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিশ্বের সফল দেশগুলোর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নগরীর বসবাস যোগ্যতা বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে নগরীর প্রান্তিক এলাকাগুলোতে সুপেয় পানি সরবরাহের সক্ষমতা।
সভায় চসিকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব ও প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা আবুল হাশেম। চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল আহসান চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের টাস্ক টিম লিডার আরিফ আহমেদ, কো-টাস্ক টিম লিডার হার্শ গয়াল, পরামর্শক সোমনাথ সেন।