মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রাম-১০ উপনির্বাচনে বিজয়ী আ.লীগের মহিউদ্দিন বাচ্চু


প্রকাশের সময় :৩০ জুলাই, ২০২৩ ৫:৪৫ : অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ও বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন। এ আসনের ১৫৬টি ভোট কেন্দ্রের ভোট গনণা শেষে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু।

নগরীরর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে রবিবার (৩০ জুলাই) রাত সোয়া ৮ টায় ১৫৫টি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু পেয়েছেন ৫২ হাজার ৬৯৯ ভোট। জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৫৬৯ ভোট। এছাড়া তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ) পেয়েছেন ১২২৬ ভোট, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি) পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) পেয়েছেন ৪৭৭ ভোট, মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট) পেয়েছেন ৩৬৪ ভোট।

এদিকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহন ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন বাচ্চুর বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চললেও অধিকাংশ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। তবে অল্প সময়ের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে খুশি ভোটাররা। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে কোনও সমস্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তারা। ঢাকা থেকে সরাসরি সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি পর্যবক্ষণ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এ দিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ চলে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। নগরীর ডবলমুরিং, পাহাড়তলী, হালিশহর নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-১০ আসনের ১৫৬টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলে।

ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়লেও বুথের সামনে ভোটারদের সারি দেখা যায়নি। কিছুক্ষণ পরপর দু-একজন ভোটারকে আসতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে অলস সময় পার করতে দেখা গেছে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের। তবে পুরুষের চেয়ে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা গেছে। অধিকাংশ কেন্দ্রে দিনভর ভোটারের অপেক্ষায় থেকে অলস সময় পার করেছেন ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তারা। দুয়েকটি কেন্দ্র অবশ্য ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। ইভিএমে ভোট নিয়ে ভোটারদের শঙ্কা থাকলেও ভোট দিতে খুব একটা ঝামেলা পোহাতে হয়নি। তবে মাত্র পাঁচ মাস মেয়াদের জন্য নির্বাচন হওয়ায় ভোটারদের তেমন আগ্রহ দেখা যায়নি। যদিও প্রার্থীরা দিনভর ভোটার টানতে নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করতে দেখা গেছে।

এদিকে সুষ্ঠুভাবে চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। কোনও ধরনের লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।

সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে নগরীর নিউ টাইগারপাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চু। ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি আছে। জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদি। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বাড়বে। নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা কাজ করছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কখনোই শঙ্কা প্রকাশ করি নাই, আমি মনে করছি- শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগের মো. মহিউদ্দিন বাচ্চু (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সামসুল আলম (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালী আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী সামসুল আলম বলেন, ভোট কি রাতে হয়ে যাবে কিনা বা ভোটকেন্দ্রে গেলে ভোট দেয়া যাবে কিনা এই সংশয়ে ভোটাররা কেন্দ্রে আসেনি। নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন সেনাবাহিনীর টহলের ব্যবস্থা করতো, তাহলে মানুষ ভোটকেন্দ্রে চলে আসতো।

তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী দীপক কুমার পালিত বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ ভালো হলেও মানুষ কেন জানিনা ভোটকেন্দ্রে আসছে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজনকে নমিনেশন দিয়েছেন, তিনিই জিতে যাবেন, ভোট দেয়ার দরকার কী! এই ধরনের মনোভাব আছে ভোটারদের মধ্যে।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এই আসনে ১৫৬টি ভোটকেন্দ্রের ২০১টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৬৩৮ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৯ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮০ জন নারী। নির্বাচন মনিটরিংয়ের জন্য ১৫৬টি কেন্দ্রে বসানো হয় এক হাজার ৪০৭টি সিসিটিভি ক্যামেরা। নির্বাচনী অপরাধ আমলে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ পরিচালনায় ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সদস্যরা নিয়োজিত ছিল। ভোটকেন্দ্রের মধ্যে সাধারণ কেন্দ্রগুলোতে ১৬-১৭ জন পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৭-১৮ জন পুলিশ ও আনসার দায়িত্ব পালন করেন।

ট্যাগ :