মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, রোববার, ১৯ মে ২০২৪ ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আদালত অবমাননা করায় চট্টগ্রাম রেলের ডিজি-জিএমসহ ৫ জনকে নোটিশ


প্রকাশের সময় :২৬ জুলাই, ২০২২ ১২:১০ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রেলওয়ের মহাপরিচালক ও চট্টগ্রাম পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকসহ (জিএম) পাঁচ রেল কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল (১) আদালত। আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে আগামী ৪ আগস্ট সশরীরে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাদের।

গার্ড গ্রেড (২) নিয়োগ সংক্রান্ত আদালতে নির্দেশনা না মানায় এই পাঁচ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন আদালত।

রেল কর্মকর্তারা হলেন মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, এডিজি (ওপি) সর্দার শাহাদাৎ আলী, এডিজি (এম অ্যান্ড সিপি) আবদুল্লাহ আল বাকি, পূর্বাঞ্চল মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন ও স্টেশনমাস্টার জাফর আহমেদ।

সোমবার (২৫ জুলাই) বাদী পক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আবদুল্লাহ নাঈম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গত ১৫ জুন গার্ড (২) নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত আদেশ চেয়ে ঢাকা প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ১ম দায়রা জজ শেখ ফারুক হোসেনের আদালতে আব্দুল কাইয়ূম বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত পরীক্ষা স্থগিত করেন। পরবর্তীতে রেলের আইনজীবী আদালতকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়টি জানালে ১৭ জুন পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও মামলার কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো নিয়োগ না দেওয়ার আদেশ দেন আদালত।

এদিকে ১৯৮৫ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী স্থায়ী চাকরিরত ৪০ জন গার্ডকে সরকারি খরচে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা পদোন্নতির অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু ২০২০ সালের নতুন চাকরিবিধি অনুযায়ী তাদের পদোন্নতি বন্ধ রাখে রেলেওয়ে। এরপর গার্ড (২) নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলে স্থায়ী গার্ডরা আদালতে মামলা করেন।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্থায়ী গার্ডদের পদোন্নতির বিষয়টি সুরাহা না করে গার্ড (২) নিয়োগ দেওয়া হয়। নতুন গার্ড নিয়োগ দিলে তাদের পদোন্নতি বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর মামলায় নতুন নিয়োগ না দেওয়া আদেশের পরও তা অমান্য করে রেলওয়ে নয়জনকে গার্ড পদে কাজের অনুমতি দেয়। বিষয়টি বাদীপক্ষের আইনজীবীর নজরে আসলে তিনি অবমাননার বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন।

মামলার বাদী আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ‘আদালতের স্টে-অর্ডার থাকা সত্ত্বেও পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামে অস্থায়ী গার্ড দু’জনকে কন্ট্রোল আদেশে (তারবার্তা) কাজ করার অনুমতি দেয় রেলওয়ে। পরবর্তীতে আরও সাতজনকে গার্ড পদে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। যা আদালতের নির্দেশনা অমান্যের সামিল।’

এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আপনার কাছ থেকে শুনলাম। খবর নিয়ে এই বিষয়ে জানাতে পারবো।’

ট্যাগ :