স্টাফ রিপোর্টারঃ
মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের ভূমি অধিগ্রহণের আড়াই কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের টাকা জাল আমোক্ত নামা তুলতে গিয়ে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়েছে শাহ আলম নামের এক প্রতারক। প্রতারক শাহ আলম ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার চরসোনাপুরের রহিমুল্লাহর ছেলে।
রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এহসান মুরাদ। তিনি বলেন, মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের দক্ষিণ মঘাদিয়া মৌজার বিএস খতিয়ান: ৩৬৭, বিএস দাগ নং- ১০৮৭ম এর বিপরীতে এলএ ১৩/১৭-১৮ নম্বর মামলায় ক্ষতিপূরণ পাবেন খায়রুল বশর। কিন্তু তিনি মারা যাওয়ায় আইন অনুযায়ী তার পাঁচ ওয়ারিশ এই টাকা পাবেন। তারা ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদনও করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আটক হওয়া প্রতারক শাহ আলম আমোক্ত নামা দাখিল করে সেই টাকা দাবী করেন। আমাদের সার্ভেয়ারদের সন্দেহ হলে আমরা ওয়ারিশদের খুঁজে বের করি এবং আমোক্তনামার বিষয়ে জিজ্ঞেস করি। তখন তারা জানান, পাঁচ ওয়ারিশের দুইজন প্রবাসে। বাকি তিনজনের কেউ তাকে আমোক্তনামা দেয়নি। আমোক্ত নামাটি ভূয়া।
জানা গেছে খায়রুল বশরের থেকে অধিগ্রহণকৃত জমির পরিমান সাড়ে তিন একর। তার পরিবার দুই কোটি ৪৯ লাখ ১৭ হাজার ৬০২ টাকা ৫০ পয়সা ক্ষতিপূরণ পাচ্ছেন। ওয়ারিশরা হচ্ছে খায়রুল বশরের মোছাম্মৎ আর জাহান রীনা, পুত্র মোহাম্মদ জাফর উল্যাহ ও সাইফুল ইসলাম, কন্যা শামসুর নাহার ও হাসনা আক্তার রোজী।
প্রতারক শাহ আলমের বাড়ি মিরসরাই অর্থনৈতিক জোনের পশ্চিম পাশের চরসোনাপুর ইউনিয়নে। চরসোনাপুর মিরসরাই সংলগ্ন হলেও ফেনী জেলা সোনাগাজী উপজেলার অন্তর্ভুক্ত। তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।