পটিয়া প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ায় বাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও একজন মহিলা। তারা হলেন পটিয়ার হাবিলাসদ্বীপের হুলাইন গ্রামের মৃত নোয়াব মিয়ার ছেলে সিএনজিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল (৫৩), খরনার মাঝিরপাড়া এলাকার মৃত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল করিম রফিক (৩৫), চন্দনাইশ পৌর এলাকার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া কলঘর বণিকপাড়ার মিন্নাত ধরের ছেলে শুভ ধর (২৭), একই উপজেলার রশিদাবাদ গ্রামের মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৮), মোহাম্মদপুর এলাকার সেন বাড়ির বিশ্বজিৎ সেন (৪৫) ও রুপনা সেন (৪২)। বিশ্বজিৎ ও রুপনা দু’জন স্বামী-স্ত্রী।
এর আগে সোমবার (১১ জুলাই) রাতে পটিয়ার কচুয়াই ইউনিয়নের জলুয়ারদীঘি এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত হন। এ সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে আরও ১০-১৫ জন আহত হন।
ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক মোজাফফর হোসেন একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে সিএনজির পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন। নিহতদের লাশ পরিবারের লোকজনের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গাড়ি দুটি উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।’
এদিকে ঈদের দিন রোববার (১০ জুলাই) রাতে পটিয়ার দুই যুবক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের রামুতে প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতরা হলেন পটিয়া উপজেলার বড়লিয়া ইউনিয়নের পেরলা গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে মো. শেখ সাঈদী (৩০) ও একই এলাকার আহমদ ছফার ছেলে সাজ্জাদ হোসেন তানভির (২৫)। শেখ সাঈদী সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার এবং সাজ্জাদ হোসেন তানভির বিবিএর ছাত্র।
নিহত শেখ সাঈদীর বড় ভাই রেজাউল করিম বলেন, ‘তারা চার বন্ধু দুটি মোটরসাইকেল করে রোববার রাত ১২টার পর কাউকে না জানিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। রাত আড়াইটার দিকে রামু বাইপাস মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন মোটরসাইকেল চালক সাজ্জাদ হোসেন তানভির। গুরতর আহত হন অপর আরোহী শেখ সাঈদী।’
তিনি আরও বলেন, ‘অপর দুই বন্ধু রাত সাড়ে ৩টার দিকে কক্সবাজার পৌঁছে তাদের দেখতে না পেয়ে মোবাইলে ফোন দেন। এ সময় মোবাইলে সংযোগ না পেয়ে তারা হাইওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় রামু বাইপাস সড়কের মোড়ে এসে তাদের দেখতে পান। গুরতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ সাঈদীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরবেলা শেখ সাঈদী মারা যান।’