স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশে ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানির পশু মজুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ ও অবাধ পরিবহন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, আসন্ন ঈদে কোরবানিযোগ্য ৪৬ লাখ ১১ হাজার ৩৮৩টি গরু-মহিষ, ৭৫ লাখ ১১ হাজার ৫১৭টি ছাগল-ভেড়া, এক হাজার ৪০৯টি উঠ, দুম্বা, গাড়লসহ প্রায় এক কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা থাকবে।
সম্প্রতি দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। এজন্য সারাদেশ জুড়ে কোরবানির হাট ব্যবস্থাপনায় যারা থাকবেন তাদের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। প্রত্যেক ক্রেতা-বিক্রেতা ও হাট কমিটির সদস্যকে তা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। করোনা পরিস্থিতি আগের মতো ভয়াবহ হলে আমাদের সবার ক্ষতির কারণ হতে পারে।
মন্ত্রী বলেন, গরুর হাটগুলোতে হাত ধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। পাশাপাশি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে হাটগুলো পরিচালিত হবে।
সভা থেকে জানা যায়, কোরবানি উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এরই মধ্যে নয় হাজার ৪০২ জন পেশাদার কসাই এবং আট হাজার ৯৫৬ জন মৌসুমি কসাইসহ মোট ১৮ হাজার ৩৫৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পশুখাদ্যে ভেজাল, নিষিদ্ধ অ্যান্টিবায়োটিক ও হরমোনের ব্যবহার রোধে নিয়মিত ভেটেরিনারি ডাক্তারের তদারকি, করা হবে। প্রয়োজনে ভ্যাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষ থেকে পশুর সরবরাহ ঠিক রাখতে মহাসড়কে হাট স্থাপন না করার কথা উল্লেখ করা হয়। খামারিদের পক্ষ থেকে পশু আনা-নেওয়ার সময় চাঁদাবাজি ঠেকাতে হটলাইনের ব্যবস্থা করার আহ্বান জানানো হয়।