আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
ইউক্রেনে রাশিয়ার ধ্বংসাত্নক কর্মকাণ্ড পুরো দুনিয়ার জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট। এই আগ্রাসনের পর মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক আর আগের জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ইউক্রেন সফরে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইউক্রেনে এই সফরে ইরপিন এবং বুচার মতো শহরগুলো পরিদর্শনের কথা রয়েছে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর। কিয়েভের অভিযোগ এই শহরগুলোতে ব্যাপক নৃশংসতা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর মেরিন বলেন, রাশিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের যাবতীয় পদক্ষেপের প্রতি ফিনল্যান্ডের সমর্থন রয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে রাশিয়ার ওপর আরোপ করা পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে মস্কো। বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট এড়ানোর লক্ষ্যে এক ‘বিস্তৃত পদ্ধতির’ অংশ হিসেবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের তাগিদ দিয়েছে রাশিয়া।
বিশ্বের শীর্ষ শস্য রফতানিকারক দেশ ইউক্রেন। পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও বন্দরে রুশ অবরোধের কারণে সেসব শস্য বিদেশে রফতানি করতে পারছে না কিয়েভ। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রে রুদেনকো বলেছেন, যদি তার দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং কিয়েভ আশেপাশের পানিপথের মাইন নিষ্ক্রিয় করে তাহলে রাশিয়া মানবিক করিডোরের ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত। এই করিডোর দিয়ে ইউক্রেনের খাবার সরবরাহকারী জাহাজগুলোকে নিরাপদ পথ করে দেওয়া হবে।