স্টাফ রিপোর্টারঃ
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) নতুন প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় শেখ হাসিনা বলেন, এই পদে আপনাকে নির্বাচিত করায় এটাই প্রমাণ করে যে আপনার নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্যতা এবং বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতার প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল ও জনগণের গভীর আস্থা রয়েছে।
রোববার (১৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, যার ফলে উভয়ের মধ্যে বর্তমানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সম্পর্ক বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন, ১৯৭৪ সালের ১০ মার্চ উপসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে ইউএই প্রথম বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি দিয়েছিল, যার ফলে ভ্রাতৃপ্রতিম আরব দেশগুলোর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথ সুগম হয়েছিল। আর এভাবে অঞ্চলটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের ভিত স্থাপিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে উল্লেখ করতে চাই, আমাদের মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আজ পারস্পারিক সহযোগিতার উঁচু পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। দুই দেশের মধ্যে মানবসম্পদ, ব্যবসা, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা খাতসহ অনেক ক্ষেত্রে সহযোগিতায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। শেখ হাসিনা দৃঢ় আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান এ সম্পর্ক ও অংশীদারত্ব আরও গভীর হবে এবং অভিন্ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে উভয় দেশের জনগণের কল্যাণে অবদান রাখবে। শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী বলেও উল্লেখ করেন।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্টের সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য কামনা করার পাশাপাশি দেমটির ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করেন।