স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমতে থাকলে তার প্রভাব আমাদের বাজারেও পড়বে। গত ৫ মে সিদ্ধান্তের পরে ৬-৭ মে সাপ্তাহিক বন্ধ ছিল। ফলে পেমেন্ট করে মাল নিয়ে তা ডিস্ট্রিবিউশন করতে সময় লেগেছে। তিনি বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আগের দামের কিছু তেল লুকিয়ে রেখেছিল। সেটাও তারা বের করছিল না। আমি মনে করি, দুই-তিন দিনের মধ্যেই তেলের বাজার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ মে) রাজধানী একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান বন্ধের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা, এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ঠিকমতো সাপ্লাই দেওয়া শুরু না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখব। সরকার কবে থেকে তেল আমদানি করতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবকিছু নিয়ে কাজ করছি। আমরা আশাবাদী হয়ত জুন মাস থেকে টিসিবির মাধ্যমে তেল আমদানি করতে পারব।
তেল আমদানিতে যতটুকু শুল্ক আছে তা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই, এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সবকিছুর ট্যাক্স কমানোর দপ্তর হচ্ছে ন্যাশনাল বোর্ড অব রেভিনিউ। আমরা শুধুমাত্র চিঠি দিতে পারি। আমাদের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১০ শতাংশ তারা কমিয়েছে। এখন ভ্যাট ৫ শতাংশ আছে। আমরা চিঠি দেবো, সেটা কমানোর জন্য। তিনি আরও বলেন, আমরা এক কোটি পরিবারকে যেটা দিয়েছিলাম, এটা কনটিনিউ করব। আমাদের ব্যবসায়ীরা যেটা রেগুলার ইমপোর্ট করে সেটা যদি করে থাকে, তাহলে সমস্যা হওয়ার কথা। আমরা দামটা ৩৮ টাকা বাড়িয়েছি। কিন্তু জনগণের কথা ভেবে রমজান মাসে সেটি করিনি। এফবিসিসিআই বলছিল ১৫ দিন পরপর দামটা দেখতে। আমরা এক মাস পর পর দেখি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে ভারত থেকে ১৩-১৪ টাকা কমে তেল বিক্রি করছি। পাকিস্তান থেকে আমাদের টাকায় প্রায় ৩৬ টাকা কমে বিক্রি করছি। নেপালের প্রাইস একই রকম আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে না কমলে আমাদের পক্ষে কমানো সম্ভব হবে না। আমাদের ডিপেন্ডেন্সি এখনো ৯০ শতাংশ বাইরের দেশ থেকে।