স্টাফ রিপোর্টার:
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অবৈধ দখলদারদের কারণে ভরাট হয়ে যাওয়া চরপাথরঘাটা-চরলক্ষ্যা খাল উদ্ধারে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের মইজ্জারটেক ও সৈন্যারটেক এলাকায় খাল উদ্ধারে ভ্রাম্যমাণ আদালত উচ্ছেদ অভিযান চালায়। উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী। এ সময় খাল উদ্ধারে তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও খাল খনন কাজ শুরু করেন।
জানা যায়, কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা থেকে উৎপত্তি হওয়া
খালটি সৈন্যারটেক হয়ে মইজ্জারটেক এসে শিকলবাহা, চরপাথরঘাটা ও চরলক্ষ্যা ইউনিয়নকে সংযুক্ত করেছে চার কিলোমিটার খালটি। কর্ণফুলী নদী থেকে উৎপত্তি হওয়া চরপাথঘাটা-চরলক্ষ্যা খাল নামের এই খালের পানি দিয়ে তিন ইউনিয়নে চাষাবাদ হয়। পাশাপাশি বর্ষায় লোকালয়ের পানি কর্ণফুলী নদীতেও গিয়ে পড়ে। কিন্তু খালটি দখল করে বাড়িঘর-দোকানপাট নিমার্ণ এবং মইজ্জারটেক গরুর বাজারে পিছনে খাল ভরাট করে রীতিমত খালের অস্তিত্ব বিলীন করে ফেলা হয়। এতে করে চাষাবাদ ও পানি নিষ্কাশনে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছিল। অভিযানে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং গরুর বাজারে পিছনে খাল খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করেন।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা বেগম নেলী বলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা অনুসারে উপজেলার খালগুলো দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা চিহিৃত করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভিযানে নেমেছি। মইজ্জারটেক এলাকায় খাল ভরাট করে রীতিমত খালে অস্তিত্ব বিলীন করে ফেলা হয়েছে। তাই অভিযানের প্রথমদিনে খননযন্ত্র দিয়ে গরুর বাজারে পিছনে খাল খনন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং আটটির মত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, খাল উদ্ধারে অবৈধ দখলদারদের কোন ছাড় দেয়া হবে না। খালে যতদিন অবৈধ স্থাপনা থাকবে, ততদিন উচ্ছেদ অভিযান চলবে।
