এম.এইচ মুরাদ:
মৌসুমের নতুন পেঁয়াজ বাজারে এলেও আশানুরূপ দাম কমেনি। বছরের সবচেয়ে আলোচিত খাদ্য পণ্যটির দাম গত সপ্তাহে বেশ অনেকটা কমার পর ফের কিছুটা বেড়েছে। নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসার পরও কেন আবার পণ্যটির দাম বাড়ছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে অন্তত ৩০ টাকা বেড়েছে। তবে বিক্রেতারা দাবি করেছেন, সরবরাহে টান পড়ায় ফের বাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
আজ শনিবার (২১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি দেশি পুরনো পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়, আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৯০ টাকায় এবং নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০থেকে ১০০ টাকায়।
ক্রেতারা জানান, এখন পেঁয়াজের মৌসুম, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। সেখানে দাম বেড়েছে। এর পেছনে কী আছে তা খুঁজে বের করা দরকার। সরকারের মনিটরিংয়ের জায়গাটা দুর্বল বলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে যে পরিমাণ নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ থাকার কথা ছিল তা না থাকায় দাম বেড়ে গেছে।
বিক্রেতারা জানান, এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম প্রতি পাল্লায় (পাঁচ কেজি) ৮০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে।
এদিকে নগরীর বাজারগুলোতে শীতের শাক-সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও অধিকাংশ সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার ও মানভেদে কেজিতে শিম ৩০ থেকে ৫০, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫, বেগুন ৪০ থেকে ৬০, মুলা ২০ থেকে ৩০, শালগম ৩০ থেকে ৪০, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ থেকে ৪০ ও শাক প্রতি আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কেজিপ্রতি দেশি পাকা টমেটো ৬০ থেকে ৮০, আমদানি করা পাকা টমেটো ৫০ থেকে ৬০, গাজর ৪০ থেকে ৫০, নতুন আলু ৩০ থেকে ৪০ ও বরবটি ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে দাম কমলে আমরা কমে বিক্রি করতে পারি। আর আমাদের কেনা দাম বেশি হলে বিক্রিও সেই অনুসারে করতে হয়। মাত্র কয়েকটি সবজির সরবরাহ বেড়েছে, যে কারণে দুয়েকটি সবজি ছাড়া সবগুলোর দাম অপরিবর্তিত আছে।