স্টাফ রিপোর্টারঃ
চট্টগ্রামের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমাবর্তন আগামী ২৭ মার্চ রোববার সকাল ১১টায় নগরীর বায়েজিদ আরেফিন নগরের বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে থাকবেন কম্পিউটার বিজ্ঞানী, শিক্ষক, কলামিস্ট এবং লেখক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।
২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক, ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাংসদ, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও বিভিন্ন দফতরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, সমাবর্তন যেকোন শিক্ষার্থীর জন্য একটি স্মরণীয় দিন। এ দিনটিকে ঘিরে রচিত হয় হাজারো স্বপ্ন। আমরা চাই শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকতে। এমন একটি আয়োজনের জন্য সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি সত্যিই আনন্দিত ও গৌরবান্বিত। শিক্ষা সমাপণী মোট ৭হাজার ৮শ’ ৫৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে থেকে রেজিট্রেশনকৃত বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ে ২৫১০ জন এবং প্লানকোত্তরে ৭৭৬ জনসহ মোট ৩২৮৬ জন শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় সমাবর্তনে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। এইবার চ্যান্সেলর অনার রুল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন ১০ জন শিক্ষার্থী। এছাড়াও ভাইস-চ্যান্সেলর অনার রুল ৩৯ জন, ডিন অনার রুল ৩৮ জন এবং গ্রাজুয়েট একাডেমিক এক্সিলেন্স পাচ্ছেন ৯ জন শিক্ষার্থী।
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে মিশন ও ভিশন অনুযায়ী এর একাডেমিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়। বিশ্বমানের উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন নিয়ে ২০০২ সালে যে ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল, তা আজ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা উচ্চশিক্ষার্থে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করে আসছি। অনেক বন্ধুর পথ পেরিয়ে আজ নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাসে সফল শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে সবার আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। হাজারো মেধাবী ছাত্রছাত্রী আর অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকার মিলনমেলায় জ্ঞান অর্জনের এক আদর্শ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে আমাদের এই ইউনিভার্সিটি। বিগত দুর্দশক ধরেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উচ্চশিক্ষায় এই ইউনিভার্সিটি বরাবরই ঈর্ষণীয় সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে আসছে বলে জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। শুধুমাত্র সন্দ নির্ভর নয় বরং গবেষণা ও জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে কীভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলা যায় সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা বাণিজ্য নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর যে দুর্নাম তাকে পাশ কাটিয়ে সবার সাধ্যের মধ্যে শিক্ষা গ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত করে তার অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে সাউদার্ন কর্তৃপক্ষ। নাম মাত্র টিউশন ফি-তে সবার সাধ্যের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার দ্বার প্রসারিত করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মান অর্জন, অভিজ্ঞ শিক্ষকবৃন্দ, আপডেটেড কারিকুলাম, মানসম্মত ল্যাব, লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষ পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ অর্জন করেছে আইইবি ও ফার্মেসি কাউন্সিল অ্যাক্রেডিটেশন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অর্জন করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের গুণগত ও বিশ্বমানের শিক্ষায় গড়ে তুলতে কাজ করছে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার মানোন্নয়নে ইউজিসি ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রজেক্ট হেকেপ এ সফলতা, জাতিসংঘের সহযোগী সংস্থা একাডেমিক ইম্পেক্ট এর সদস্য হয়ে জাতিসংঘের প্রণীত ১০টি এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে সাউদার্ন এগিয়ে যাচ্ছে। নিয়মিত আয়োজন করা হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন। সম্মেলনে আমিরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরত গবেষকদের ৪৭টি গবেষণা নিবন্ধ সম্মেলনে পঠিত হয়।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনার কথা জানান সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ও সমার্তন আয়োজক কমিটির কো-কনভেনার অধ্যাপক এম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক সরওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান, কলা, সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান, বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আবুল মনসুর চৌধুরী, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান এবং রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার ড. মো. মোজাম্মেল হক।