মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উদ্ধার হল বিপিএল’র সেই ড্রোন!!


প্রকাশের সময় :১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৩:৩৭ : অপরাহ্ণ

নিউজ-ডেস্ক:

সাগরিকা স্টেডিয়াম থেকে হারিয়ে যাওয়া ড্রোন ফেরত দিলে ১০ হাজার টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে এমন ঘোষণায় মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের আশেপাশে তোলপাড় পড়ে যায়। ড্রোনটির জন্য অনেকেই খোঁজাখুঁজিও শুরু করে দেয়। ঘোষণাটি আসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে, আদৌ এই পুরষ্কার দেয়া হবে কি না সে সম্পর্কে তাদের নিশ্চিত কোন ধারণা ছিল না সেসময়। পরবর্তীতে সম্প্রচার ও ড্রোনের দায়িত্বে থাকা রিয়েল ইমপ্যাক্ট প্রোডাকশন টিম এই পুরষ্কারের দায়িত্ব নেয়।

এই ড্রোন বা রিমোট কন্ট্রোলচালিত কোয়াডকপ্টারটি মূলত অনেক উপর থেকে খেলার মাঠের ভিডিও ধারণের জন্য ব্যবহার করেন সম্প্রচারকারকরা। সেদিন চট্টগ্রামের স্টেডিয়ামে চলছিল খুলনা টাইগার্স ও রাজশাহী রয়্যালসের মধ্যে একটি ম্যাচ। হঠাৎ করেই ড্রোনটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় সেটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে ভূপাতিত হয়।

ক্রিস ফিকরেট এই ড্রোনটি রিমোট কন্ট্রোলের দায়িত্বে ছিলেন। কানাডা থেকে আসা এই ড্রোন অপারেটর জানান, আসলে ড্রোনটির ব্যাটারি ফুরিয়ে গিয়েছিল। এখন বিকল্প একটি ড্রোন ব্যবহার করছি আমরা। আমাদের ড্রোন নিয়ে চিন্তা নেই। আরো ড্রোন আছে। পরবর্তীতে আজ ড্রোনটি স্টেডিয়ামের পূর্বদিকের ফ্লাড লাইটে খুঁজে পাওয়া যায়।

মি. ফিকরেট জানান, এই ড্রোনটি রেজিস্ট্রার করা, তাই কেউ পুনরায় ব্যবহার করতে চাইলেও সেটা অসম্ভব। ‘অন’ হওয়া মাত্রই আমাদের রেডিও ডিভাইসে এটা সিগনাল পাঠাবে। এর আগে স্টেডিয়াম সংলগ্ন সাগরিকা এলাকার একটি টেনিস কোর্টে পরে অবশ্য ড্রোনটির ব্যাটারিটি পাওয়া যায়।

ড্রোন পাওয়ার আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের একজন কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “ড্রোন হারানোর পর অনেক ফোন পেয়েছি। এটা নিয়ে এতো মাতামাতির কিছু নেই। ব্যাটারি শেষ হয়েছে ড্রোন পড়ে গেছে, পাওয়া যাবে আশা করি। তবে এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ক্রিস ফিকরেট জানান, ড্রোনটির মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকার বিপরীতে ৫ হাজার ক্যানাডিয়ান ডলার।

পুরো ঘটনাটি পর্যবেক্ষণকারী এক ব্যক্তি জানান, ড্রোনটির রেঞ্জ দুই কিলোমিটার, এটা উড়তে উড়তে আউটার স্টেডিয়ামে চলে যায়। সেখানে ফ্লাডলাইডের যে পিলার সেখানে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। পাইলট প্রথমে বলেছে পাখির সাথে ধাক্কা লেগেছে, এরপরে বলেছে আবার ব্যাটারি শেষ হয়ে গিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে ড্রোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সম্প্রচারের সাথে যারা জড়িত তাদের যোগাযোগের একটা দূরত্ব ছিল। কেউই জানতো না শুরুতে ঘটনা কী হয়েছে গতকাল রাত থেকেই ড্রোন হারানোর ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটা নিয়ে লিখেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে তাৎক্ষণিক পুরষ্কারের ঘোষণা ও ড্রোন হারানোর ঘটনা উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

ট্যাগ :