নিউজ-ডেস্ক:
কলকাতার একটি গণমাধ্যম জয়া আহসানের বিশাল এক স্টোরি ছেপেছে। সেখানেই নির্মাতা সৃজিতের বক্তব্য নিয়েছে পত্রিকাটি। এরপর সেখানে বলা হয় সৃজিত নাকি জয়া আহসানের জন্য ধর্ম পরিবর্তন করতেও রাজি ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেন এই সম্পর্ক ভেঙে গেল সে বিষয়গুলো আর সামনে আসেনি। জয়া সম্পর্কে কলকাতার বিভিন্ন নির্মাতার অভিমত নেওয়া হয় প্রতিবেদনে।
যেমন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘জয়া ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছেন দেরিতে। ধন্যবাদ অরিন্দম শীলকে যিনি জয়াকে খুঁজে বের করেছিলেন। ‘আবর্ত’-য় কাজ করতে গিয়ে ওকে আলাদা মনে হয়েছিল। সৌন্দর্যের সঙ্গে একটা ডিগনিটি মানুষ খোঁজে, সেটা পরিণত বয়সেই সম্পূর্ণতা পায়। জয়ার মধ্যে সেটাই আছে। সৃজিত ওকে দিয়ে চমৎকার কাজ করিয়েছে। শিবুও। অতনুও করাচ্ছে। ম্যাচিওর অভিনেত্রী হওয়ার জন্য ওকে নিয়ে নিশ্চয়ই আরও চরিত্র লেখা হবে।’
আনন্দবাজার নামে ওই গণমাধ্যম সৃজিতের বক্তব্য প্রকাশ করে। ‘চরিত্রর চেয়েও আমার মনে হয়, যে ভাবে স্ক্রিপ্ট বেছে বেছে ছবি করে জয়া তাতে ও অনেককে পেরিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচিওরড স্ক্রিপ্ট। ওর নানা রকম লুক। যে কোনও চরিত্র অ্যাডপ্ট করে ফেলতে পারে সহজে। দুই বাংলার ডায়ালেক্টও অসম্ভব ভাল বলতে পারে।’
জয়াকে এভাবেই বিশ্লেষণ করলেন তাঁর ‘এক যে ছিল রাজা’র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। সৃজিতের সঙ্গে জয়ার প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে একসময় গুঞ্জন উঠেছিল টলিউডে। শোনা যায়, সৃজিত নাকি জয়ার জন্য ধর্মান্তরিতও হতে চেয়েছিলেন!
বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান হুট করেই কলকাতায় ছবিতে অভিনয় শুরু করেন। ২০১৫ সালে কলকাতার ‘রাজকাহিনি’ ছবিতে অভিনয় করেন জয়া। আর এ ছবির নির্মাতা ছিলেন সৃজিত। ছবি করতে গিয়েই জয়ার সঙ্গে সৃজিতের প্রেমের গুঞ্জন ওঠে।