আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অল্প ব্যবধানে কানাডার নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে, কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
এ নিয়ে জাস্টিন ট্রুডো তৃতীয়বারের মতো কানাডার নির্বাচনে জয়ী হলেন। কিন্তু তার সমালোচকরা বলছেন, এই নির্বাচন সময়ের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।
নির্বাচনে লিবারেলরা ১৫৬টি আসন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে, কিন্তু পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য তাদের দরকার ছিল ১৭০টি আসন। মিস্টার ট্রুডো নির্ধারিত সময়ের আগে এই আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের আশায়।
কনজারভেটিভ পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে এবং মোটামুটি ১২২টির মতো আসনে জয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে মন্ট্রিয়েলে তার সমর্থকদের সামনে দেয়া ভাষণে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, “এখনো অনেক ভোট গোনা বাকী আছে। কিন্তু আজ রাতে আমরা যা দেখেছি তাতে এটা স্পষ্ট কানাডার মানুষ প্রগতিশীল পরিকল্পনাকেই বেছে নিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আপনারা এমন এক সরকারকে বেছে নিয়েছেন যারা আপনার জন্য লড়াই করবে এবং আপনাদের জন্য কিছু করবে।”
কানাডায় করোনাভাইরাসের চতুর্থ ঢেউয়ের মধ্যে এই নির্বাচন হয়েছে। এটি ছিল কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল নির্বাচন। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৭ কোটি মার্কিন ডলার।
কিন্তু নির্বাচনী ফলের যে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে, তাতে দুবছর আগে পার্লামেন্টের যে চেহারা ছিল, এবারের নির্বাচনে একদম সেরকম একটি পার্লামেন্টই হতে যাচ্ছে।
মাত্র দুবছরের মাথায় মিস্টার ট্রুডো যখন হঠাৎ এই নির্বাচন ডাকেন, তখন এটিকে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য একটি চেষ্টা হিসেবেই দেখেছেন অনেকে। মিস্টার ট্রুডোকে এরকম একটা নির্বাচনের দরকার কেন পড়লো – তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টির নেতা এরিন ও’টুল এটিকে অর্থ এবং সময়ের অপচয় বলে বর্ণনা করেছেন।