স্টাফ রিপোর্টারঃ
“জনতা যখন জেগে উঠে, তখন যেকোন প্রতিরোধ বালির বাঁধের মতো ভেঙে যায়, আবারো প্রমাণ হবে চির সত্য কথাটি সিআরবিকে বেনিয়া গোষ্ঠীর হাত থেকে রক্ষার মধ্য দিয়ে। যুগে যুগে তার প্রমাণ দিয়েছে বীর জনতা। গত দেড় মাস ধরে স্বতঃস্ফূর্ত যে আন্দোলন চলছে, তার স্বস্তি মিলবে একমাত্র সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণের চুক্তি বাতিলের মধ্য দিয়ে।”
শনিবার (১৪ আগস্ট) নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের অবস্থান কর্মসূচি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে আয়োজিত মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে বক্তাগণ এ কথা বলেন। পরে আলোর মিছিল সিআরবি প্রদক্ষিণ করে।
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের ব্যানারে সিআরবি রক্ষার এমন অরাজনৈতিক আন্দোলন আজ চট্টগ্রামের প্রতিটি মানুষের মনের কথাটিই বলছে। তাই বিকেল হলেই সিআরবির সমাবেশে যাওয়ার জন্য এতোটা তাড়না বা প্রাণের তাগিদ অনুভব করেনি মানুষ। দেড় মাস ধরে মানুষের স্রোত মিলেছে সিআরবিতে। চট্টগ্রামের ফুসফুস রক্ষার দাবিতে দল মত নির্বিশেষে এ গণ জাগরণ জমে উঠে দুপুর গড়িয়ে গেলেই। মিলেমিশে এক দাবিতে সোচ্চার রয়েছে মানুষ দিনের পর দিন ধরে। একাত্তরে এভাবেই বঙ্গবন্ধুর ডাকে সকলেই ছুটে এসেছিল অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে শামিল হতে। আর এখন মানুষ আসছে নতুন প্রজন্মের আহবানে, চট্টগ্রামের ফুসফুসকে রক্ষা করতে। একাত্তরে যুদ্ধের কোন অভিজ্ঞতা ছিল না, কিন্তু আজ তরুণ প্রজন্মকে প্রেরণা ও শক্তি যোগাচ্ছেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা, ঢাকা থেকে দেশ ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে সিআরবি রক্ষার আন্দোলন।
নাগরিক সমাজ, চট্টগ্রামের সদস্য সচিব প্রবীণ আইনজীবি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন শাহ, পরিবেশ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. ইদ্রিস আলী, মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, মহানগর আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আবদুল আহাদ, আওয়ামীলীগ নেতা কাজল চৌধুরী, যুবলীগ নেতা হেলাল উদ্দিন, সাবেক ছাত্র নেতা আহিল সিরাজ, সাবেক ছাত্র নেতা নূরুল আজিম রণি, লেখক সাংবাদিক শিবলী সাদিক কফিল, সংস্কৃতি কর্মী সজল চৌধুরী, বিজয় একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডা. আর কে রুবেল, কক্সবাজার থেকে আগত উন্নয়ন কর্মী আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
সাংবাদিক ঋত্বিক নয়নের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংহতি প্রকাশ করেন, মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুচ, কবি প্রফেসর হোসাইন কবির, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নাট্যজন সাইফুল আলম বাবু, ন্যাপ নেতা মিঠুল দাশগুপ্ত, কবি আফম মোদাচ্ছের আলী, আওয়ামীলীগ নেতা হাসান মনসুর, ব্যারিস্টার বদরুল আলম চৌধুরী, নারী নেত্রী ফারহানা আফরোজ আলম জেনিফা, আবৃত্তি শিল্পী প্রণব চৌধুরী, দৈনিক বাংলার নবকন্ঠ প্রত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান এম.এইচ মুরাদ, মহানগর যুবলীগ নেতা শিবু প্রসাদ চৌধুরী, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্না, আবু তাহের রানা, ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম, মায়মুন উদ্দীণ মামুন, শাখাওয়াত হোসেন রাব্বি, ইয়াসিন চৌধুরী জনি, মো. রিয়াদ, এসকান্দার মির্জা, রাকিব হায়দার, আনোয়ার পলাশ, মনির ইসলাম, আবদুল্লাহ আল সাইমুন, মাঈন উদ্দিন সোহেল, এডভোকেট রাশেদুল ইসলাম, আমাদের আলোকিত সমাজের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম, আমাদের চাক্তাইয়ের প্রধান সমন্বয়ক আরশাদুর রহমান প্রমুখ।