সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের এমসি কলেজে গণধর্ষণের ঘটনার পর সারা দেশ থেকে একের পর এক আসছে ধর্ষণকাণ্ডের খবর। নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার রেশ না কাটতেই আবার সিলেটের শামিমাবাদ এলাকায় বসতঘরে ঢুকে পাঁচ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে শ্রমিকলীগ নেতাসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরের শামিমাবাদ ৪ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাসার ভাড়াটে বাসিন্দা শ্রমিকলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী হারুন আহমদ।
সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জ্যোতির্ময় সরকার বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত শনিবার এক গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। ঘটনার পর ওই নারীকে হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
সেখান থেকে নারী নিজে বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেন। এরপর এসএমপির লামাবাজার ফাঁড়ি পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
মামলায় গ্রেফতার হওয়া দিলোয়ার ও হারুন ছাড়াও জামাল নামে আরেকজন অভিযুক্ত রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে, সিলেট এমসি কলেজের ঘটনার পর সিলেট নগরের দাড়িয়াপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় রাকিবুল হোসেন নিজু নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
এছাড়া সিলেট সদর উপজেলায় আরেক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এরও আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে এক নারীকে ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মী গণধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ধর্ষণের শিকার নারীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এবার স্কুলছাত্রী, সংখ্যালঘু শিশু ও গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।