সিলেট প্রতিনিধি:
সদ্যপ্রয়াত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের দেওয়া ফেসবুক পোস্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট মহানগর যুবলীগ। একই সঙ্গে ফেসবুক পোস্ট প্রত্যাহার করে মুক্তাদিরকে সিলেট ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। ক্ষমা না চাইলে তাকে গণপিটুনির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) বিকালে সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি বলেন, ‘সাবেক অর্থমন্ত্রী শুক্রবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা শোকে মুহ্যমান। ওই সময় তার সমালোচনা করে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। যা কোনও সুস্থ মানুষের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। ফেসবুক পোস্ট প্রত্যাহার করে তাকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজন শ্রদ্ধেয় একজন মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে খন্দকার মুক্তাদির যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন, কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ কখনও তা করতে পারেন না। মরহুম আবুল মাল আবদুল মুহিতকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে খন্দকার মুক্তাদির দেশ ও সিলেটবাসীর হৃদয়ে আঘাত দিয়েছেন। তিনি মানসিক বিকারগ্রস্ত তা আবারও প্রমাণ করলেন। বিএনপি মানসিক বিকারগ্রস্তদের সংগঠন। খন্দকার মুক্তাদির খন্দকার মোশতাক আহমেদের উত্তরসূরী। অবিলম্বে খন্দকার মুক্তাদিরকে বক্তব্য প্রত্যাহার করে সিলেট ও দেশবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় তাকে গণপিটুনি দিয়ে সিলেট থেকে বিতাড়িত করা হবে।’
এদিকে, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের দেওয়ার ফেসবুক পোস্টের প্রতিবাদে সিলেটজুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। সিলেট জেলা যুবলীগ নেতা সাজলু লস্কর মুক্তাদিরের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘আপনি জাস্ট একজন ছোট লোক। ছিঃ।’
জুয়েল মনসুর নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘বিএনপি যে মানুষের দল নয়, সেটা আজ আবারও প্রমাণ করলেন।’
আব্দুল মুক্তাদির ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘জনাব আবুল মাল আব্দুল মুহিত পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানাই গভীর সমবেদনা। জনাব মুহিত ছিলেন কলেজজীবনে আমার চাচার সহপাঠী। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ছিলেন ভোটারবিহীন জবর-দখলকারী একটি সরকারের অংশ। যে সরকার ইলিয়াস আলীসহ সিলেটের কমপক্ষে চার জন এবং সারাদেশের কয়েকশ’ গুমের জন্য অভিযুক্ত। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকাকালে তার অনুসৃত ভুল অর্থনৈতিক নীতি এবং একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্প ও ক্রয় প্রস্তাব পাসের দায় এই জাতিকে পরিশোধ করতে হবে বহু বছর ধরে। তার স্মৃতির সঙ্গে এই পীড়াদায়ক বাস্তবতা জড়িয়ে থাকবে বহুদিন। তার মাগফিরাতের জন্য দোয়া করি।’