মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‌ঘুর্ণিঝড় হামুনে লণ্ডভণ্ড চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক এখনো অস্বাভাবিক


প্রকাশের সময় :২৫ অক্টোবর, ২০২৩ ৭:১৯ : অপরাহ্ণ

মো: সেলিম (সাতকানিয়া প্রতিনিধি):

ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বিভিন্ন এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে থেমে থেমে ঝড়ো বাতাস তছনছ করে দিয়েছে মানুষের সব কিছু।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস জানিয়েছেন, উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে গাছচাপায় বকুমা খাতুন (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। নিহত পরিবারের মাঝে ২৫ হাজার টাকা নগদ সহায়তা ও পাশাপাশি বাড়ি নির্মাণ করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন । ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ব্যাপক গাছপালা উপড়ে গেছে। বিশেষ করে কালিয়াইশ, ধর্মপুর, নলুয়া, ছদাহা, সোনাকানিয়া, কেঁওচিয়া ও খাগরিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। গাছ ও ডালপালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারনে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল বহু এলাকায়। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে গাছ উপড়ে পড়ায় প্রায় ৪ ঘণ্টা সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে দোহাজারী হাইওয়ে থানা পুলিশ গাছ সরিয়ে দিলে যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

এদিকে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে গাছ সরিয়ে ছিড়ে পড়া লাইন মেরামত করে প্রায় ২৫ ঘণ্টা পর দোহাজারী পিডিবি বিদ্যুৎ লাইন চালু করে। এখনো বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অনেক এলাকা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১২৩টি ঘর আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

তাছাড়া পল্লী বিদ্যুতের আওতাধীন ইউনিয়নে এখনো পর্যন্ত সম্পুর্ণরূপে বিদ্যুৎ লাইন চালু করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বিদ্যুৎতের অভাবে এবং মোবাইল নেটওয়ার্ক টাওয়ারের ক্ষতির কারণে সাতকানিয়া উপজেলা জুড়ে মোবাইল সংযোগও বিছিন্ন ছিল সারাদিন। এখনও অনেক জায়গায় মোবাইল নেটওয়ার্ক স্বাভাবিক হয়নি বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী দীলিপ চন্দ্র চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ছাড়া সকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ চট্টগ্রামে তাদের অন্তত ৮১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ট্যাগ :