মো: সেলিম (সাতকানিয়া প্রতিনিধি):
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।পানি নেমে যাওয়ার পরই জেগে উঠেছে বন্যায় বিপর্যস্ত এলাকা। চারপাশে শুধুই বন্যার ক্ষতচিহ্ন। বিভিন্ন কাঁচা বাড়িঘর থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও কাদা-পানিতে একাকার এসব বাড়িঘরে এখনই প্রবেশের উপায় নেই। পুরো সাতকানিয়া-লোহাগাড়াতে রয়েছে খাদ্য ও পানি সঙ্কট। প্রয়োজন ব্যাপক ত্রাণ সহায়তা।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে সাতকানিয়ার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ও বান্দরবান সড়কের উপর থেকে পানি কমে যাওয়ায় শুরু হয়েছে সড়ক যোগাযোগ। তবে, ছোট খাটে গাড়ি চলাচল করলেও যাত্রীবাহী বাস চলতে দেখা যায়নি। সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড়, ঢেমশা, পশ্চিম ঢেমশা, এওচিয়া, নলুয়া, আমিলাইশ ও চরতী ইউনিয়নে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া সড়কসমূহ জেগে উঠেছে। তবে কাদামাটির কারণে সড়ক দিয়ে চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।
সাতকানিয়া উপজেলা সদর ও থানা এলাকা থেকে পানি নেমে গেছে। দুই দিন পর পানির নিচ থেকে জেগে উঠেছে সাতকানিয়া পুলিশ স্টেশন। অপরদিকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আদালত চত্বর এখনো পানিতে ডুবে রয়েছে।
কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বলেন, কেওচিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডের অনেক নিচু জায়গায় এখনো বন্যার পানি রয়ে গেছে। নির্মিতব্য রেল লাইনের কারণে পানি দ্রুত নামতে পারছে না। আমার ইউনিয়নের একাধিক ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এখনো পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। বন্যার পানি কমলেও খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কটে চরম দুর্ভোগে রয়েছে মানুষ। পুরো সাতকানিয়াতে ব্যাপক আকারে ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন।
এদিকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়া এলাকায় বন্যা পরবর্তী ত্রাণ সহায়তা দিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। সাতকানিয়ার বন্যা দুর্গত প্রায় বারো হাজার মানুষের জন্য বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার বিতরণ করছেন সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ মোতালেব সিআইপি। এম এ মোতালেব সিআইপি বলেন, আমরা আমাদের সাধ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে বন্যা দুর্গতদের পাশে রয়েছি। আমার নিজস্ব অর্থায়নে ও সরকারি মিলিয়ে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার বন্যাদূর্গত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং এটি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।