সাতকানিয়া প্রতিনিধিঃ
সাতকানিয়া উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হলো ছাত্রলীগ নেতা এবং বান্দরবান সরকারী কলেজ স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আজম উদ্দীনকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজম তার বাড়ীর পাশে একটি অনুষ্ঠান শেষ করে বাসায় ফেরার পথে মাদক ব্যবসায়ী ও চিহৃিত অস্ত্র ব্যবসায়ী জেয়াবুল হক লেডু তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন তাকে ধরে নিয়ে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। একপর্যায়ে রক্তাক্ত আজমকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য লেডুর কাছে রক্ষিত একটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র কোমরে গুঁজে দেওয়া হয়। এলাকাবাসী ডাকাত লেডু বাহিনীর ভয়ে এতোটা ভীত যে, সন্ধ্যার পর থেকে মুহুরী পাড়া এলাকায় লোকজন ঘর থেকে বের হয় না।তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, কিছুদিন পূর্বে ধর্মপুর ইউনিয়নে যুবলীগ নামধারী কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ একজন গরীব অসহায় মহিলার ঘর ভাংচুর করে। এই ব্যাপারে আইনগত কোন প্রতিকার না পাওয়ায় অসহায় মহিলা পক্ষে অবস্থান নেয় স্থানীয় ছাত্রলীগ এর নেতাকর্মীরা। তার ধারাবাহিকতায় আজ সকালে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী তুহিন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে লেডু তার দলবল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা আজমের উপর হামলা চালায়। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ তীব্র নিন্দা জানাই।
জিয়াবুল হোসেন লেডু প্রকাশ লেডু ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে: ২০০৫ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখে মামলা নম্বর ৪, ২০১৫ সালের ১০ জুন মামলা নম্বর ২১, ২০১৬ সালের ৩ এপ্রিল মামলা নম্বর ২, ২০১৯ সালের ১৯ অক্টোবর মামলা নম্বর ১৬। সম্প্রতি হামলার ঘটনায় ২৪ এপ্রিল একটি মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে। কিন্তু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
২১ এপ্রিল ভুঁইয়াপাড়া এলাকায় জিয়াউদ্দীন, আফাজ, মুছাসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করে লেডু ও তার বাহিনী। ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। জিয়াউদ্দীন বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
১১ এপ্রিল ধর্মপুর ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকায় আমিনুল ইসলাম নামে এক যুবক ওষুধ কিনতে যাওয়ার পথে তাকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয় জিয়াবুল হোসেন লেডু ও তার বাহিনী। পরে এ ঘটনায় আমিনুলের বাবা আবদুল গফুর থানায় অভিযোগ করেন।