স্টাফ রিপোর্টারঃ
বেলা ১১টা থেকে সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা। দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এবার এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষার্থী।
যানজট এড়াতে এবছর এক ঘণ্টা পিছিয়েছে পরীক্ষার সময়। ১১টায় শুরু হওয়া পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
২০২২ সালের সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল প্রকাশিত হবে।
সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলো তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এক অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে।
মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০৩ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৫ অক্টোবর শেষ হবে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে তত্ত্বীয় পরীক্ষা ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ০১ অক্টোবর এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ অক্টোবর শুরু হয়ে ১৮ অক্টোবর শেষ হবে।
এবার সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যার কারণে প্রায় ২০ লাখ শিক্ষার্থীর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু ভবিষ্যতে দুর্যোগের কারণে গোটা দেশ নয়, কেবল সংশ্লিষ্ট এলাকার পরীক্ষা স্থগিত করা হবে বলে জানিয়েন শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি।
এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেউ দেরি করলে তার কারণ গেটে রেজিস্ট্রার খাতায় উল্লেখ করে প্রবেশ করতে দিতে হবে। সে তথ্য পরীক্ষা শেষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে পাঠাতে হবে।
পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে কেউ মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না। শুধু কেন্দ্র সচিব বাটন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে বহিরাগত কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। প্রতিটি কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ পরীক্ষা আয়োজন করতে হবে।
পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে প্রশ্নের সেট কোড ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট সরকারি কর্মকর্তার উপস্থিতিতে কেন্দ্র সচিব ও পুলিশ কর্মকর্তার সইয়ের মাধ্যমে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনো প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠানের প্রধান পাবলিক পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে পরীক্ষা কেন্দ্র বাতিল করা হবে। দোষী শিক্ষক ও কর্মচারীদের (সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলে) চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে তাদের এমপিওভুক্তি বাতিল করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
অন্যদিকে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।