স্টাফ রিপোর্টার:
র্যাগিংয়ে জড়িত আরও ১৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়।
জানা গেছে, শাস্তি পাওয়া তিতুমীর হলের এসব আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক বহিষ্কারের পাশাপাশি হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
যাদের শাস্তি দেয়া হলো :
বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং তিতুমীর হল থেকে আজীবনের জন্য মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক মুগ্ধ ও আনফালুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়।
তাদের সঙ্গে ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য হল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। তারা হলেন- মো. জাহিদুল ইসলাম, জিহাদুর রহমান, মো. এহসানুল সাদ, আবিদ–উল কামাল, মোহাম্মদ সায়াদ ও মাহমাদুল হাসান রবিন।
উল্লেখ্য, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর র্যাগিংয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২১ নভেম্বর আবরার হত্যার অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন।
এরপর বিভিন্ন সময় র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয় ২৭ নভেম্বর।
আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তৃতীয় দফায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ ১৪ জনকে শাস্তি দিল।