স্টাফ রিপোর্টারঃ
আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ ব্যাপারে পূর্ণ প্রস্তুতিও আছে। তবে করোনা সংক্রমণ অন্তত ৫ শতাংশে না নামলে ঝুঁকি নেয়া উচিত হবে না বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এই কথা বলেন।
প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী।
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তৃতায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে বলেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেয়া উচিত হবে না। ঈদযাত্রার কারণে সংক্রমণের হার আবারো কিছুটা ঊর্ধ্বগামী। আমরা বলেছি, আগামী ১৩ জুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিতে চাই। আমরা চেষ্টা করব।’
দীপু মনি বলেন, ‘সরকারের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সব প্রস্তুতি নেয়া আছে। সংক্রমণের হার কমলেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে অনেক চাপ আছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ না খোলার পক্ষে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চাইতে বন্ধ রাখতেই আমরা বেশি এসএমএস পাচ্ছি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সুরক্ষার জন্য বন্ধ রাখতে এসএমএস করে জানাচ্ছেন। কিছু মানুষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আন্দোলন করল। অধিকাংশ মানুষ তার বিপরীতে কথা বলছেন। তাই আন্দোলনকে গুরুত্ব না দিয়ে পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘মাধ্যমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনলাইন মাধ্যমে ক্লাস চালু রয়েছে। পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত পড়াশোনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।’
নাগরিক সমাজ ও জনতার প্রত্যাশার আয়োজনে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশ নেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী।