স্টাফ রিপোর্টারঃ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলা প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সাথে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান ও উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তারা।
রোববার রাত ১২টায়ও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত মানেন না এবং কোনোভাবেই ক্যাম্পাস ও হলত্যাগ করবেন না তারা।
এর আগে বিকেলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে পুলিশ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেন।
প্রশাসনের এমন ঘোষণার পরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তিনটি গ্রুপ তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানিয়ে প্রথমে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে পরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার বিষয়ে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে হলত্যাগ করতে হবে।
তবে, প্রশাসনের এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ক্যাম্পাসে আবারও বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার স্থলে নতুন প্রাধ্যক্ষ হিসেবে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ, হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা দূর করে সুস্থ-স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত এবং ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রাধ্যক্ষ কমিটি নিয়োগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে আন্দোলন করছেন হলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী।
এরই অংশ হিসেবে রোববার সকাল পৌনে নয়টার দিকে শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এ সময় প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগ চেয়ে প্ল্যাকার্ড হাতে অনেক ছাত্রী অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী এ আন্দোলনে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনেরও ঘোষণা দেন।