নওগাঁ প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাইয়ে প্রথম বারের মতো দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে সরকার। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থে মানবিক সহায়তায় এসব বাড়ি পায়েছে ১৫টি পরিবার। ওই কর্মসূচির আওতায় উপজেলার অস্বচ্ছল, হতদরিদ্র, ঘরহীন ও নদীভাঙনসহ বিভিন্ন দুর্যোগে গৃহহীন পরিবার, বিধবা, তালাক প্রাপ্ত মহিলা, প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ ১৫টি পরিবারের মধ্যে পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
বাড়ি প্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার পাইকড়া গ্রামের সাগর আকরাম মন্ডল, হাটকালুপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ প্রামানিক, দিঘা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আ. আজিজ মন্ডল, পাঁচুপুর গ্রামের গজেন কুমার পাল, নওদুলী গ্রামের সমরেশ আলী, শিমুলকুচি গ্রামের হাফিজা বেগম, বাঁকা গ্রামের রঞ্জিত প্রামানিক, দীঘা গ্রামের নূর উদ্দিন প্রামানিক, কাশ্যবপাড়া গ্রামের আব্দুল আলী দেওয়ান, একই গ্রামের জাইদুল দেওয়ান, তেজনন্দী গ্রামের আফছার আলী, ফটোকিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক, বলরামচক গ্রামের আফজাল ফকির এবং রসুলপুর গ্রামের সাবিনা খাতুন।
এ বিষয়ে উপজেলার হাটকালুপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ প্রামানিক ও পাঁচুপুর গ্রামের গজেন কুমার পাল জানান, নিজেদের সামান্য জমি থাকলেও ঘর বানানোর সামর্থ্য নাই। বেঁচে আছি গ্রামের মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে। সরকারি খরচে দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি পাওয়ার শেষ জীবনটা হবে সুখের, নতুন বাড়িতে ভালভাবে থাকতে পারব এমনটিই আশাবাদি তারা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) নভেন্দু নারায়ন চৌধুরী জানান, আত্রাই উপজেলায় ১৫টি নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাড়িগুলো ইট দিয়ে তৈরি, কাঠের দরজা-জানালা, অত্যাধুনিক রঙিন টিনের ছাউনি, ১০ ফিট লম্বা ও ১০ ফিট আয়তনের দুই কক্ষের বাড়ি, একটি রান্নাঘর ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার থাকবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ প্রতিরোধী এমন বাড়ি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রত্যেকটি বাড়ি নির্মাণে সরকারের খরচ দুই লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছানাউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হতদরিদ্রদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনব ও চমৎকার একটি কর্মসূচি। দরিদ্রতা থেকে উত্তরণের জন্য এবং হতদরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষে সরকার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আর এ কারণে সরকারের দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কাবিটা ও টিআর কর্মসূচির বিশেষ খাতের অর্থে এই ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে।