নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
রাজধানীর বাজারে দিন কয়েক হলো পাকা আম আসতে শুরু করেছে। এই আমের বেশির ভাগই আসছে দক্ষিণের জেলা সাতক্ষীরা ও তার আশপাশের এলাকা থেকে। আমের জন্য বিখ্যাত উত্তরের জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ। এই জেলাগুলোর মধ্যে নওগাঁর আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহীতে কাল বৃহস্পতিবার সময় নির্ধারণ করা হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ক্ষেত্রে আম সংগ্রহের সম্ভাব্য সময় বলে দেওয়া হচ্ছে।
দেশে মৌসুমের শুরুর দিকে আম আসে মূলত সাতক্ষীরা থেকে। এবার এ জেলায় আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয় ৫ মে থেকে। এ সময় গোপালভোগ, বোম্বাই, লতা ও গোবিন্দভোগ জাতের আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম বলেন, ১৬ মে থেকে হিমসাগর আম পাড়ার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৪ মে থেকে ল্যাংড়া এবং আগামী ১ জুন থেকে আম্রপালি জাতের আম পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। উত্তরের জেলা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদিত হয়। এবারও সেখানে আমের ভালো ফলন হয়েছে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২৫ মে থেকে গুটি বা স্থানীয় আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। গোপালভোগ ৩০ মের পর থেকে সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। ক্ষীরসাপাত ও হিমসাগর আগামী ৫ জুন, নাগফজলি ৮ জুন, ল্যাংড়া ও হাঁড়িভাঙা ১২ জুন, ফজলি ২২ জুন, আম্রপালি ২৫ জুন, আশ্বিনা ও বারি আগামী ৪ জুলাই এবং গৌড়মতি ১০ জুলাই থেকে পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এ কে এম মঞ্জুরে মাওলা প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে আম সংগ্রহের নির্ধারিত সময়ের তালিকা মাঠপর্যায়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবার আম সংগ্রহের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়নি বলে জানান জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সময় বেঁধে দিলে অনেক ক্ষেত্রে অপরিপক্ব আমও পাড়া হয়। তবে ২০ মের মধ্যে গোপালভোগ, তার ৭ দিন পর ক্ষীরসাপাত, জুনের শুরুতে ফজলি এবং জুনের মাঝামাঝি আম্রপালি পাড়া যেতে পারে।
রাজশাহীর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আগামীকাল আম সংগ্রহের সময় নির্ধারণ করবে। এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. মোজদার হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ইতিমধ্যে স্থানীয় বৈশাখী জাতের আম পাকতে শুরু করেছে। এই আম দ্রুত পাড়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। ২০ বা ২১ মে থেকে গোপালভোগ পাড়ার সময় নির্ধারণ করা হতে পারে।