মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীতে দেশের দুই বড় রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ আজ


প্রকাশের সময় :২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ৩:০৩ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে আজ শনিবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করবে বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে। মাত্র দেড় কিলোমিটারের মধ্যে দুই দলের পালটাপালটি বড় সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে টানটান উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টায় পছন্দের ভেন্যুতেই আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে ২০ শর্তে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সমাবেশে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে দুই দলের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে ঢাকায় এসেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি নিয়ে অশুভ খেলার পরিকল্পনা আছে বিএনপির। কেউ যাতে অশান্তি করতে না পারে সেজন্যই আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশের ডাক দিয়েছে। এই সমাবেশটি হবে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ।’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই মহাসমাবেশ করব। আমাদের মহাসমাবেশের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাপ দেওয়া এবং বাধ্য করার চেষ্টা করা।’

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সমাবেশ করবে। এই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে বিএনপি বেলা ২টা থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে মহাসমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বক্তব্য রাখবেন বিএনপি স্থায়ী কমিটি সদস্য ও সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ জানিয়েছে, তাদের সমাবেশে ২ লাখ লোক জমায়েত ঘটবে। আর বিএনপি জানিয়েছে তাদের সমাবেশে লোক হবে ১ থেকে সোয়া ১ লাখ। এদিকে জামায়াতে ইসলামীকে সমাবেশের অনুমতি না দিলেও আজ শনিবার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশ করবে বলে জানিয়েছে দলটি। গতকাল দলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভয়ভীতি উপেক্ষা করে এই মহাসমাবেশে যোগ দিতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এছাড়া বিএনপির যুগপত্ আন্দোলনের শরিক দল ও জোটগুলোও আজ রাজধানীর ১১টি স্থানে সমাবেশ করবে।

বড় শোডাউন করবে আওয়ামী লীগ: রাজপথে আজ সাংগঠনিক শক্তির শোডাউন দেখাবে আওয়ামী লীগ। বিএনপি ও তার মিত্রদের মহাসমাবেশকে ঘিরে সম্ভাব্য সন্ত্রাস-নৈরাজ্য ঠেকাতে রাজপথ দখলে নানা কৌশল নিয়েছে দলটি। সকাল থেকে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে পাড়া-মহল্লায় মিছিল করবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টায় পূর্বঘোষিত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে স্মরণকালের সর্ববৃহত্ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নেতাকর্মীদের হাতে থাকবে জাতীয় পতাকা। গতকাল থেকেই রাজধানীর চারপাশের সব প্রবেশপথে নেতাকর্মীর সতর্ক পাহারা বসানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজপথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সতর্ক পাহারায় থাকবেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দেখিয়ে দিতে চায় তারা অশান্তির বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমরা সরকারে আছি, আমরা কেন অশান্তি করব? বিএনপি অশান্তি করতে চায়। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। তারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করতে চায়। তাই আমাদের আজ লড়াই করে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোনো সংশয় নেই, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। সম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রত্যাশিত অনুকূল পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। সিইসির এ বক্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদেরের কাছে জানতে চান সাংবাদিকরা। তখন তিনি বলেন, এই বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। তিনি বলেন, আজ বেলা ১১টা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। মূল সমাবেশ হবে দুপুর আড়াইটায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মো. ফারুক খান, শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্র জানায়, মঙ্গল ও বুধবার ইউনিট, ওয়ার্ড, থানা, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে চারটি বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। এসব বৈঠকে নেতাকর্মীদের ২৪ ঘণ্টা ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২৮ অক্টোবর পতাকা নিয়ে মিছিল সহকারে সমাবেশে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের আজ মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল।

ট্যাগ :