স্টাফ রিপোর্টার:
টানা ৭ বার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে কেবল চট্টগ্রাম নয়, সারাদেশে রেকর্ড গড়তে চান ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড এর কাউন্সিলর ৭০ বছর বয়সী সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু। এবারও তিনি আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে এই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৬টি নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতি নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন। ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির শাসনামলে আওয়ামী লীগ নির্বাচন বর্জন করায় সেই নির্বাচনে অংশ নেননি। এবারও তিনি চকবাজার থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করতে চান। আর ৭ম বারের মতো নির্বাচিত হয়ে সারাদেশে গড়তে চান অনন্য রেকর্ড।
এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, ৭ম বারের মত নির্বাচনী লড়াইয়ে এবারও তিনি মানুষের আস্থা ভালোবাসায় ফের কাউন্সিলর হবেন। কারণ আজীবন তিনি চকবাজারের মানুষের সুখ-দুঃখ ফেরি করেছেন। মেদহীন জীবনযাপনের বিনিময়ে মানুষকে সেবা দিয়ে প্রমাণ করেছেন তিনি প্রভু নয়, সেবক। আর এই সেবার কাজটি নিরবচ্ছিন্ন করতে গিয়ে দীর্ঘদিন সংসারে জড়াননি। প্রয়াত মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুরোধে ৪৮ বছর বয়সে সংসারজীবন শুরু করলেও চকবাজারের মানুষই তার চূড়ান্ত সংসার, পরিবার।
তার একমাত্র সন্তান এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। স্ত্রী-সন্তানের তেমন চাহিদা নেই। তিনি ছোটকাল থেকে নিরামিষভোজী। চলেন এক কাপড়ে। নেই বিলাস-ব্যসন। যার বৈষয়িক চিন্তা নেই, চাহিদা নেই তার পক্ষেই সম্ভব জনগণের সেবা করা। বলেন এই জনপ্রতিনিধি।
জনসেবার কাজটি করতে পারছেন বলেই জনগণ পেশিশক্তি-টাকার খেলার বিপরীতে বারে বারে তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে জানিয়ে সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু বলেন, ‘জনগণই আমার শক্তি, আমার পোস্টার, আমার ইশতেহার।’
একবার কাউন্সিলর হলেই অনেকে টাকা-পয়সা, ধন-সম্পত্তির মালিক হওয়া যায়। আপনি ৬ বার কাউন্সিলর হয়ে কী করলেন জানতে চাইলে মিন্টু বলেন, আমার কিছু করা লাগে না। করপোরেশন থেকে মাসে ৩৫ হাজার সম্মানি পাই, তিনটি দোকান ঘর আছে, সেখান থেকে কিছু লাভ আসে। তাতেই আমার দিব্যি চলে যায়। আমার গাড়ি নেই, বাড়ি নেই, বিলাসিতা নেই। কাজেই খুব বেশি টাকা লাগে না আমার।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আমার কিছু বন্ধুমহল অপপ্রচার চালাতে ব্যস্ত। আমি তাদেরকে বলবো আপনারা হয়তো আমার সম্পর্কে ভুল তথ্য পেয়েছেন বা আমাকে ভুল বুঝেছেন। আমি আহবান করবো আপনাদের প্রতি আসুন আমরা সবাই মিলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিতে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখি।
আজকাল টাকা ছাড়া নির্বাচন হয় না, তাছাড়া নির্বাচনের বিপুল খরচ কীভাবে জোগাবেন-এমন প্রশ্নে সাইয়্যেদ গোলাম হায়দার মিন্টু বলেন, আমার কিছু স্বজন, শুভার্থী আছে তারাই পোস্টার দেয়, প্রচার-প্রচারণায় গাড়ি দেয়। কেউ কেউ চাঁদা তুলেও আমার নির্বাচনে খরচ জোগায়, আমার পাশে দাঁড়ায়।
এবারের ইশতেহার কী-জানতে চাইলে মিন্টু বলেন, আমি ভোটারদের কাছে পরীক্ষিত। তাই আমার ইশতেহার লাগে না। তবুও বলি ‘আমি আমার নই, আমি আপনাদের। আপনাদের হয়েই আছি, থাকবো আজীবন।’