আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ জনেরও বেশি রাজনীতিবিদ তার সরকার থেকে পদত্যাগ করায় ব্যাপক চাপের মুখে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু দল নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জনসন।
১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা এখন আমার কাছে স্পষ্ট যে আমার এমপিরা আমাকে দল বা দেশের নেতা হিসেবে দেখতে চান না। তবে যতদিন না নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে ততদিন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করব।
তিনি বলেন, এখন থেকেই দেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণের প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। আর নতুন প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার আগ পর্যন্ত এই অন্তবর্তী সময়ে একটি নতুন মন্ত্রিসভা নিয়োগ করা হবে। আর আজ থেকেই এই বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান তিনি। ’
এর আগে সদ্য-নিযুক্ত মন্ত্রীসহ ৫০ জনেরও বেশি রাজনীতিক সরে দাঁড়ানোয় সরকার বিপজ্জনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই পররাষ্ট্র সচিবসহ আটজন মন্ত্রী গত দুই ঘণ্টায় পদত্যাগ করার পর অনেকটা বিচ্ছিন্ন ও ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন জনসন। অবশেষে এক পর্যায়ে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দিতে বাধ্য হন তিনি।
গত কয়েক দিন ধরে প্রধানমন্ত্রীর পদ বাঁচানোর লড়াইয়ে জনসনের মুষ্টিমেয় কয়েকজন মিত্র ছাড়া বাকি সবাই পরিত্যাগ করেছেন।
৫৮ বছর বয়সী জনসন ২০১৯ সালে ব্রিটেনের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন। ব্রিটেনের এমন কিছু অংশে তিনি ভোট পেয়েছিলেন, যেখানে আগে কখনো তার কনজারভেটিভ পার্টি সমর্থন পায়নি।
এমনকি তার অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাভি, যিনি বুধবারই নিয়োগ পেয়েছেন, তিনিও জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান।
টুইটারে তিনি বলেন, পরিস্থিতি টেকসই নয় এবং এটি আরও খারাপ হবে; আপনার জন্য, কনজারভেটিভ পার্টির জন্য এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গোটা দেশের জন্য। আপনাকে অবশ্যই সঠিক কাজটি করতে হবে এবং এখনই পদ ছাড়তে হবে।