মোঃ মোরশেদুল হক আকবরী:
আমার হাতে রক্তের দাগ নেই। সন্ত্রাসের মাধ্যমে নয়, ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে চাই। জীবনে কোনো দিন জাসদ করিনি, দিনরাত পরিশ্রম করে বাদলকে জিতিয়েছি। আমি মনে করি, ভোটাররা কাজ চায়, চায় উন্নয়ন। সেই হিসেবে উন্নয়নের ছোঁয়া বোয়ালখালীতে কম। নির্বাচিত হওয়ার পর আমার প্রথম ও প্রধান কাজ হবে নতুন কালুরঘাট সেতুর দৃশ্যমান করা। ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রীর শিকলবাহার জনসভায় আখততারুজ্জামান বাবু ও আমি দাবি জানিয়েছিলাম। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন নতুন সেতুর। সেই সেতু আমি করতে পারবো।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আমি সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী। ১৯৬৫ সালে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি। ১৯৭৫ সালের দুঃসময়ে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে সক্রিয় ছিলাম। আমি ছাত্রলীগ, যুবলীগ করেছি। ২৭ বছর দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। আখতারুজ্জামান বাবু ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। সব সময় মূলধারার রাজনীতি করেছি। জিয়া এরশাদের সঙ্গে রাজনীতি করার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছি।
নির্বাচিত হওয়ার পর বোয়ালখালীতে তার উন্নয়নের পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি বোয়ালখালীতে শিল্পজোন করবো, বেকারদের কর্মসংস্থান করবো, পৌরসভাকে এ গ্রেডে উন্নীত করবো, আওয়ামী লীগের বাইরেও অন্যরা এলাকার উন্নয়নে কাজ করতে পারবেন, বলেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সঞ্চালনায় ছিলেন দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, উত্তর জেলা সভাপতি এমএ সালাম, নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, নঈম উদ্দিন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগ নেতা শফর আলী, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, নগর অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম, উত্তর জেলা সহ-সভাপতি ফখর উদ্দিন, আবু তাহের, প্রদীপ দাশ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আগামী ১৩ জানুয়ারি বোয়ালখালী উপজেলা-চান্দগাঁও, পূর্ব ও পশ্চিম ষোলশহর, পাঁচলাইশ, মোহরা নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-৮ আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।