এম.এইচ.মুরাদ:
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তারিখ দ্রুতই ঘনিয়ে আসছে। দিন যতই যাচ্ছে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীদের মাঝে ততই চসিক নির্বাচনের উওাপ ছড়াচ্ছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি চসিক নির্বাচনে ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডবাসীরাও ভোটের হিসাব নিকাশ কষতে শুরু করেছে। এবারের চসিক নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত একক প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন অত্র ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর জনাব একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক।
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পূর্বাংশে ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের অবস্থান। এর পশ্চিমে ১৬নং চকবাজার ওয়ার্ড ও ২০নং দেওয়ান বাজার ওয়ার্ড, দক্ষিণে ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড ও ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড, পূর্বে ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড এবং উত্তরে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড অবস্থিত।
১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা ৯৭,১৪৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫১,৬০৭ জন এবং মহিলা ৪৫,৫৩৮ জন। মোট পরিবার ২০,৭৭৪টি। মোট ভোটার রয়েছে ৪৯ হাজারের মতো।
তবে অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে এ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক উন্নয়ন আর আদর্শগত দিক দিয়ে সামনের তালিকায় রয়েছে। তার পিতা প্রয়াত কাউন্সিলর একেএম জাফরুল ইসলাম এই ওয়ার্ডের জনসাধারণের ভোটে নির্বাচিত সৎ, যোগ্য ও জনপ্রিয় সাবেক কাউন্সিলর ছিলেন। তার হাত ধরে এলাকার সর্বত্র উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এই ওয়ার্ডের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাবেক কাউন্সিলরের ছেলে হিসেবে জনাব ডিউক নিজ থেকেই নগরীর অন্য ওয়ার্ডের চেয়ে এ ওয়ার্ডটিকে পরিকল্পিত একটি আধুনিক ও মডেল ওয়ার্ড গঠনের পাশাপাশি জলাবদ্ধতা, বিশুদ্ধ পানির অভাব কিংবা অন্যান্য সমস্যা গুলো সমাধান করে চলেছেন। নিপুন এই কারিগর তিলে তিলে ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ ও মডেল ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এই ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন হয়েছে ২০১৯ সালে। জয়ী হওয়ার পর মাত্র কয়েক মাসে এলাকার উন্নয়নে যে কাজগুলো তিনি করেছেন বা করছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।
এই জনপ্রতিনিধির আশা এবারের সিটি নির্বাচনেও তাকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর পদে পুনরায় নির্বাচিত করবে এলাকাবাসী। তাছাড়াও ১৭নং ওয়ার্ডে এবার কাউন্সিলর পদে জোরেশুরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন আরো কয়েকজন প্রার্থী।
এদিকে সরেজমিন ১৭ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ওয়ার্ডবাসী এবার একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউকের মত সৎ, যোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিকে কাউন্সিলর হিসেবে দেখতে চান। ওয়ার্ডবাসী ইতোমধ্যে প্রার্থীদের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের ওয়াদা নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। এই ওয়ার্ডে ব্যতিক্রম হিসেবে রাজনৈতিক বিবেচনায় নির্বাচন হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। ওয়ার্ডে সমস্যা বলতে তেমন কিছু নেই বলে জানিয়েছেন জনসাধারণ। ভোটাররা জানিয়েছেন এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে দ্বিমুখী।
চসিকের ১৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউকের সাথে একান্ত আলাপচারিতায় একাত্তর বাংলা নিউজকে তিনি বলেন, এবার আমি একটি ভিশন নিয়ে পুনরায় প্রার্থী হয়েছি। ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় সমস্যা রয়েছে। নির্বাচিত হলে এগুলো অবশ্যই সমাধানের উদ্যোগ নেব। এক্ষেত্রে এলাকার মুরব্বীয়ান ও যুব সমাজের পরামর্শ নিয়ে সমন্বয় করে উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবো। শিক্ষার উন্নয়নে সুবিধাবঞ্চিত গরীব অসহায় ছেলেমেয়েদের পড়ালেখার সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবো। বেকারত্ব দূরীকরণের লক্ষ্যে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবো। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা সুষ্ঠুভাবে বন্টন করেছি, যারা বাদ পড়েছে তাদেরকেও এবার দেয়ার উদ্যোগ নেব। পুনরায় নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনবো- এর ফলে ওয়ার্ডে সমাজ বিরোধী অপরাধ কর্মকান্ড ও মাদকমুক্ত করা যাবে। সর্বোপরি এই ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসাবে গড়ে তুলব ইনশাল্লাহ।
জনপ্রিয় এ কাউন্সিলর এবার ওয়ার্ডের প্রতিটি এলাকার মুরুব্বী ও সুশীল সমাজকে সাথে নিয়ে ১৭নম্বর ওয়ার্ডকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং, যৌন প্রতিরোধ ও মাদকমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে জোরালা আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিরোধের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেই ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ডিউক আরো বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সবচেয়ে মর্যাদা সম্পন্ন এলাকা ১৭নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডের নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। একজন সেবক হিসেবে ওয়ার্ডের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করেছি। সরকারী ও বেসরকারী সহযোগিতায় ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ ও মডেল ওয়ার্ডে রূপান্তরিত করতে কাজ করছি। আমি নির্বাচিত হয়ে মাত্র কয়েক মাসে ওয়ার্ড ঈর্ষণীয়ভাবে সফলতার দিকে এগিয়ে গেছে। নির্বাচনে ভোটাররা এবারও একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে বিজয়ী করবে এটা আমার বিশ্বাস।
১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানায়, একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউক অসহায় মানুষের বিপদে আপদে সব সময় সাহায্য সহযোগীতা করে আজ মানুষের অন্তরে মিশে গেছে। তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজসহ এলাকার বিভিন্ন অপরাধীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল ১৭ নং ওয়ার্ডবাসী। কাউন্সিলর ডিউকের হস্তক্ষেপে অপরাধীদের আইনের হাতে সোর্পদ করে নিরীহ মানুষকে রক্ষা করেছেন। তিনি এলাকাবাসীর জন্য এক আর্দশ এবং বিভিন্ন এলাকার মসজিদ,মাদ্রাসা, এতিমদের, আর্থিক সহযোগীতা করে আর্দশবান হয়েছেন। এলাকার উন্নয়ন বান্ধব ব্যাক্তি হিসাবে একেএম আরিফুল ইসলাম ডিউকের বিকল্প নেই।